মোঃ রাকিবুল হাসান, নীলফামারী: নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে এভারগ্রিন কোম্পানির পরচুলা চুরির মামলায় সুমি আক্তার নামের একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মামলায় আরও একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে মামলাটি করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরে গ্রেফতার করে নীলফামারী থানা পুলিশ।
সুমি আক্তার দিনাজপুর খানাসামা পাকের হাট টঙ্গুয়া বাজার এলাকার আজিজার রহমানের মেয়ে। তিনি এভারগ্রীন কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এভারগ্রিন কোম্পানির পরচুলা কারখানায় কাজ করতেন সুমি আক্তার। কাজ করার সুযোগে সেখানে কাজ করা আরও কয়েকজন মিলে প্রতিনিয়ত পরচুলা চুরি করতেন তিনি। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের পরচুলা চুরি করে হেলমেটের নিচে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় সুমি আক্তারকে হাতেনাতে ধরে ফেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরে থানায় মামলা দিলে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে এভারগ্রিন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক (হিউম্যান ম্যানেজমেন্ট) জাহাঙ্গীর আলম হলেন, কোম্পানিতে কর্মরত কয়েকজন মিলে প্রতিনিয়ত পরচুলা চুরি করতেন সুমি আক্তার। সোমবার তাকে হাতেনাতে ধরা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে।
নীলফামারী সদর থানার উপ-পরিদর্শক শামীম উদ্দিন বলেন,পরচুলা চুরির দায়ে সুমি আক্তার নামে একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। একই মামলায় আরও একজনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম রয়েছে। তদন্ত ও অনান্য আসামিদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান আছে।