নীলফামারী জেলায় দুদিন থেকে শীত ও কুয়াশার ব্যাপক দাপট চলছে। মাঠ, রাস্তাঘাট সব কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে চারপাশ। রাতে এবং ভোরবেলা পাঁচ-দশ হাত দূরে কিছু দেখা যাচ্ছে না ঘন কুয়াশার জন্য। অপরদিকে সকাল দশটায় ও কুয়াশায় ঢাকা সবকিছু। এই জেলা হিমালয়ের কাছাকাছি হাওয়ায় শীতের দাপট বেশ ভালই থাকে। তবে এবার অনেক আগেই শীতের দাপট শুরু হয়ে গেছে। অগ্রহায়ণ মাস শেষ না হতেই কুয়াশার দাপট চরমে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে রাস্তাঘাট, গাছপালা।
গতকাল ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে। দিনের বেলাও সারাদিন কম-বেশি কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল চারপাশ। অপরদিকে সন্ধ্যার পর থেকে রাতের দিকে কুয়াশা ব্যাপক পড়তে দেখা গেছে। সকাল বেলা প্রত্যেকটি যানবাহনের হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে যানবাহনগুলো খুব ধীরগতিতে ছিল। মধ্যরাতের দিকে পাঁচ দশ হাত দূরে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। রাতে অল্প কিছু দূরত্বেও গাড়ির লাইট জালিএও কিছু দেখা যাচ্ছিল না। বাড়ির টিনের চালে টপটপ করে পরছে শীত।
জেলার কয়েক জায়গা ঘুরে বেশ কিছু মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, বায় শীতে জীবন শেষ, কয়দিন ধরিয়া সন্ধ্যার পর থাইকা খুব ঠান্ডা নাগে ,সকালবেলা খুব ঠান্ডা নাগে। লেপ,কাথা, কম্বল ছাড়া ঠান্ডা পালাছে না। হামরা ক্ষেত খামারত কাজ করি, কুয়াশা বেশি পরিবার কারনে সকালবেলা কাজত যাইতে খুব কষ্ট হছে বাহে। কালি সারাদিন কুয়াশার ঢাকা ছিল।
এই তীব্র শীতে ভোগান্তিতে নিম্নআয়ের মানুষ। পেটের দায়ে হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও কাজ করছেন ক্ষেত-খামারে। শীতের দাপট আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে শীতকে কেন্দ্র করে বেড়েছে শীতের কাপড় কেনার ধুম। জেলার সবচেয়ে বড় কাপড়ের বাজার সৈয়দপুর বাজার। এখানে দেখা গেছে শীতের কাপড় কেনাকাটার ধুম । অন্যান্য দোকান গুলোতে দেখা গেছে শীতের কাপড় কেনাকাটা। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে তারা বেশী শীতের কাপড় বিক্রি করে আসছেন। চাহিদা অনেক বেড়েছে। তাদের শীতের কাপড়ের ব্যবসা এখন খুব ভালো চলছে।
আজ ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৬:১২ | বুধবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি