নীলফামারীতে আওয়ামী লীগের নেতারা সভাপতির পদে বসে যে সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে তারা এখনো বহালে রয়েছে। স্বৈরশাসকের শাসন আমলে নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে নিয়োগ বাণিজ্য ও দলীয় লোকদের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার শাসন আমলের নিয়ককৃত প্রধান শিক্ষকরা এখনো রামরাজত্ব চালিয়ে আসছে। স্বৈরশাসকের পতনের পর সর্বস্তরে সংস্কার ঘটলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে কোন সংস্কার হয়নি। সভাপতি বাতিল হলেও প্রধান শিক্ষক বহাল রয়েছে। এই সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধানরা সময়ের সাথে সাথে রূপ পাল্টালেও গোপনে মানসিকতা ঠিকই থাকবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরশাসন আমলে এমপির ডিও লেটারের মাধ্যমে স্থানীয় নেতারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে সভাপতি আসন দখল করে। তাদের শাসন আমলে যে সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সে সমস্ত বিদ্যালয়ে দলীয় ও নিয়োগ বাণিজ্যর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদেরকে চিহ্নিত করে সংস্কারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান স্থানীয় সুধীজনরা।
ছাত্র ও জনতার কোটা ও সংস্কার আন্দোলন বিপ্লব ঘটার পর বিভিন্ন দপ্তরে সংস্কার শুরু হয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সংস্কার না হওয়ায় তাদের লেজুর এখনো বিরাজ করছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলন চলাকালীন সময় ওই সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধানরা ছাত্রদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ইতিমধ্যে অনেকেই রূপ পাল্টাতে শুরু করেছে। তারা নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিদ্যালয় গুলিতে এডহোক কমিটি গঠন করতে শুরু করেছে নতুন কৌশল। এবারও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে ছাত্র অভিভাবকরা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকছে।
সূত্রটি আরো জানান, যে সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এরূপ চিত্র রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে জরুরী ভিত্তিক সংস্কারের আওতায় আনা হোক।
আজ ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৫৪ | মঙ্গলবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি