সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী শ্রমিকদের এখন থেকে কাজের অনুমতিপত্র (ইকামা), আবাসন কার্ড, পাসপোর্ট অথবা মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স কার্ড রাখতে পারবেন না দেশটির নিয়োগকর্তারা। দেশটির সংশোধিত নতুন শ্রম আইনে শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে আগের নিয়ম শিথিল করে নতুন এই বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
সৌদি আরবের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ সুলেইমান আল-রাজি এ তথ্য জানিয়েছেন।
গালফ বিজনেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানি অথবা নিয়োগকর্তা সংশোধিত আইন লঙ্ঘন করলে ৩০ দিনের পরিবর্তে ১০ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ ছাড়া কোনো ধরনের জরিমানা করা হলে ১৫ দিনের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। আগে এই জরিমানা দুই মাসের মধ্যে পরিশোধের বিধান ছিল।
আইন লঙ্ঘনকারীরা জরিমানা পরিশোধ না করলে তাদের সব ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে সৌদির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নতুন এ আইনে কখন একজন কর্মীকে কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়া ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা যাবে, সে বিষয়টিও পরিষ্কার করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বার্ষিক চুক্তি অনুযায়ী একজন শ্রমিক টানা ১৫ দিন অথবা বিরতি দিয়ে এক মাসের ছুটি কাটাতে পারবেন।
এ ছাড়া কর্মচারী যদি কর্মস্থলে কোনো সহকর্মী অথবা উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তাকে শারীরিক কিংবা মৌখিক আক্রমণ করেন, তাহলেও চাকরি শেষের কোনো প্রণোদনা পাবেন না ওই কর্মচারী।
শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে সৌদি আরব বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছর দেশটিতে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও শ্রমিকদের সুরক্ষায় সাতটি নতুন শ্রম আদালত চালু করা হয়। সম্পূর্ণ ডিজিটাল এসব শ্রম আদালত দেশটির বৃহৎ সাতটি শহর রিয়াদ, জেদ্দা, দাম্মাম, মক্কা, মদিনা, আভা ও বুরাইদাহতে অবস্থিত।
গত বছরের জুলাইয়ের এক পরিসংখ্যান বলছে, সৌদি আরবে বর্তমানে এক কোটি ৩০ লাখ শ্রমিক রয়েছেন। এর মধ্যে এক কোটি বিদেশি এবং বাকি ৩০ লাখ সৌদির নাগরিক।
সূত্র : এন টি ভি