কাশ্মীর প্রশ্নে ইউরোপের অন্য একাধিক দেশের সঙ্গে এবার গলা মেলালো সুইডেনও। বৃহস্পতিবার সুইডিশ পার্লামেন্টে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান লিন্ডে।
তিনি বলেন, উপত্যকা থেকে দ্রুত সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুক ভারত। একই সঙ্গে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়েই যেন উপত্যকায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেয় ভারত। সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথাও বলেছেন।চলতি সপ্তাহেই ছয় দিনের ভারত সফরে আসছেন সুইডেনের রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ ও রানি সিলভিয়া। রাজা-রানীর প্রতিনিধি দলে থাকবেন অ্যান লিন্ডেও। সেই সফর শুরুর আগেই পার্লামেন্টে তার বক্তব্যে বেশ অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদি সরকার।তবে দিল্লি এ নিয়ে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এবং ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেক্কা হাভিস্তোও ভারত সফরে এসে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদি সরকার। ওই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর উপত্যকা যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় ও সেখানকার রাজনীতিকদের গৃহবন্দি করা হয়। তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও জম্মু-কাশ্মীরে এখনও নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন রয়েছে।