আমতলী পায়রা বুড়িশ্বর নদীতে নিষিদ্ধ মশারী জাল দিয়ে নির্বিচারে চলছে চিংড়ির রেণু শিকার। এতে রেনুর সঙ্গে উঠে আসছে বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছের পোনা ও ডিম। নির্বিচারে ডিম ও পোনা ধ্বংস করায় কমে যাচ্ছে নানা জাতের দেশি মাছের উৎপাদন।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গুলিশাখালি, আঙ্গুলকাটা, ঘটখালী, নয়াভাঙ্গুলী, লোছা, বৈঠাকাটা, লঞ্চঘাট এলাকায় প্রতিনিয়ত চলে চিংড়ির রেনু শিকার। গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেনু ধরতে নদীর স্রোতের বিপরীতে মশারি জালের মই টানা হয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর জাল টেনে নিয়ে আসা হয় কিনারে। এরপর জাল থেকে বিভিন্ন মাছের পোনা রাখা হয় একটি পাত্রে। সেখান থেকে জেলে পরিবারের নারী সদস্যরা পানিভর্তি অপর একটি পাত্রে চিংড়ির রেনু বাছাই করে রাখছেন। আর বাকি মাছের পোনা ও লার্ভা ফেলে দিচ্ছেন নদীর পড়ে। এতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছের পোনা। যার কারণে মাছের বংশবিস্তার হুমকির মুখে পরেছে। তবে জেলেদের দাবি পেটের দায়ে তারা চিংড়ির রেনু শিকার করেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এদিকে, অবৈধতার দোহাই দিয়ে জেলেদের কাছ থেকে কম দামে চিংড়ির রেনু কিনে নিয়ে চোরাই পথে পাচার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তদারকি না থাকায় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এভাবে অবাধে মাছের পোনা নিধন চলছে। এসব পোনা ধরার সময় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ওঠে। চিংড়ির পোনা বাছাইয়ের সময় বাইলা, সুরকা, পোয়া, পাঙাশ, বাছা, বাতাসি, পাবদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ডিম ও পোনা নষ্ট হয়ে যায়।
আমতলী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা হালিমা সরদার জানান, রেনু পোনা ধরা ও পরিবহন করা আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। উপজলা মৎস্য অফিস এ বিষয় তৎপর রয়েছ।সরজমিন পাওয়াগেল আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি