বহু জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। সার্চ কমিটির কাছে ৩২২ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। এদের মধ্য থেকে প্রথমে ৬০ এবং পরে ৫০ জনের নাম নিয়ে আলোচনায় হয়। সেই ৫০ নাম থেকেই ১০ জনের নাম উপস্থাপন করা হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কাজি হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান করে ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন দিয়েছেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রতিক্রিয়াটিও ব্যতিক্রম হয়নি। বাসদ, কমিউনিষ্ট পার্টি এবং বি এন পি তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের দাবী আস্থাভাজনদের দিয়ে গঠিত হয়েছে এই নির্বাচন কমিশন। নতুন এই কমিশনও সুষ্ঠ নির্বাচন করতে পারবেনা। কিন্তু বি এন পি’র উপদেষ্টা হিসাবে আলোচিত ডাঃ জাফরউল্লা চৌধুরী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন সরকারকে। জাতীয় পার্টি দলের সঙ্গে আলোচনার পর প্রতিক্রিয়া জানাবে বলেছে।
বিষয়টি নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে কখনোই এই সমস্যার সমাধান হবেনা। কারন সঠিক জেনেও বিরোধী দল কখনোই সরকারের উদ্যোগকে মেনে নিবেনা। সরকারের বিরোধীতা করাই বিরোধী দলের একমাত্র কাজ। যেমন করে সরকারের উন্নয়ন বিরোধী দলের নেতারা দেখেননা, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাটিও তারা মেনে নিবেনা। কিন্তু আসল সত্যটি হল তাদের জনসমর্থন নেই। নির্বাচনে যেতে ভয় পায় বিরোধী দল।
তাহলে কি নির্বাচন হবে না? মোট জনসংখ্যার কত শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে এই নেতারা? হউক বড় দল, যারা বার বার গনতান্ত্রিক নির্বাচন বর্জন করে তাদের রাজনীতিতে গুরত্ব কতটুকু? জয়ী হতে না পারলেই নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি দাবী করা রাজনীতি নয়। এই বিরোধীতা দেশের গনতান্ত্রিক শিষ্ঠাচার ভঙ্গেরই সামিল। এই ষড়যন্ত্রকে রুখতে হলে দেশের অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে- অগ্রাহ্য করতে হবে অযৌক্তিক দাবী। দেশের অব্যহত উন্নয়ন, অগ্রগতি স্বচল রাখতে বন্ধ করতে হবে ষড়যন্ত্র।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, বিশিষ্ট সমাজসেবক, কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।