জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে চলছে সহিংস দমন–পীড়ন। বিরোধী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তু করছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে একথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
সংগঠনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিত নিরপেক্ষভাবে সহিংসতার সব ঘটনা তদন্ত করা। এর মধ্যে এমন সব ঘটনাও আছে, যে ক্ষেত্রে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একটি পূর্ব পরিকল্পিত সমাবেশের পর থেকে প্রায় ১০ হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলমান সহিংসতায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষ।
এইচআরডব্লিউর এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক অংশীদারদের কাছে দাবি করছে, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু একই সঙ্গে দেশটির রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধীদের দিয়ে কারাগার ভরছে।
জুলিয়া ব্লেকনার আরও বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক অংশীদারদের বিষয়টি স্পষ্ট করা উচিত যে সরকারের কর্তৃত্ববাদী দমন–পীড়ন ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বিপন্ন করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী, ভিডিও ফুটেজ ও পুলিশের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করেছে এইচআরডব্লিউ। এতে দেখা গেছে, পুলিশ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অত্যধিক বলপ্রয়োগ, গণগ্রেপ্তার, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা করছে পুলিশ। অক্টোবরের ২৮ তারিখে বিএনপির সমাবেশে সহিংসতার পর থেকে বিএনপির ডাকা হরতালে অত্যাধিক বল প্রয়োগ করছে পুলিশ।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম