দুর্নীতির কারনে ৬৭৮ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। সনদ জালিয়াতি করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি নেওয়া ৬৭৮ জনকে বেতন-ভাতা বাবদ যে অর্থ নিয়েছেন সেগুলো ফেরত ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ ৭ দফা শাস্তি কার্যকরের নির্দেশও দিয়েছে মন্ত্রনালয়। গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ নির্দেশ দেয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব (অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা) মো. সেলিম শিকদার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর যাচাই-বাছাই করে ৬৭৮ জন শিক্ষক, কর্মচারীর জাল সনদ শনাক্ত করেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি সনদ প্রদানকারী দপ্তর প্রধান বা প্রতিনিধি সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বা কর্মচারীদের সনদের সত্যতা যাচাই পূর্বক ৬৭৮ জনের জাল সনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে ৭ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলো।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
৭ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশগুলো হচ্ছে-১. জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা। ২. অবৈধভাবে গ্রহণ করা বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত দানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৩. যারা অবসরে গেছেন তাদের অবসরের সুবিধা প্রাপ্তি বাতিল করা। ৪. যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করা। ৫. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের অবসর ভাতা বা কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সনদধারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা। ৬. জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের। ৭. জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ।
সুত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) ইতিপূর্বে তদন্ত করে মোট ১৫৭৭ জনকে সনদ জালিয়াতির দায়ে চিহ্নিত করেছিল। তাদের মধ্যে ৬৭৮ জনের শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিষয়টি রহস্যজনক কারণে সামনে আসেনি। তবে ইতিমধ্যে তাদের বেশ কয়েকজনকে মন্ত্রণালয় ‘বেকসুর’ হিসাবে খালাস দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিআইএ যাদের চিহ্নিত করেছিল তারা সরকারের প্রায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকা বেতন-ভাতা হিসাবে গ্রহণ করেছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি