দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি শনি অথবা রোববারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘ফণি’।অপরদিকে শুক্রবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ রয়েছে যা নিম্নচাপ ধারণ করছে। নিম্নচাপটি আজ দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৭০, কক্সবাজার থেকে ২০৮৫, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৮৫ এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ফলে সাগর উত্তাল রয়েছে। নিম্নচাপটি ক্রমশ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার ধারণ করছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ আরও বলেন, আমরা একটি নিম্নচাপ দেখছি। নিম্নচাপটি সমুদ্র উপকূল দুই হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যদি ঘূর্ণিঝড় হয়, তাহলে তা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে। তবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানবে কিনা। কারণ দূরত্ব যেহেতু অনেক বেশি, এর মাঝে গতি ও দিক পরিবর্তন হতে পারে। যদি ঘূর্ণিঝড়টি হয় তাহলে তার নাম হবে ফণি। আমরা নিম্নচাপটি পর্যবেক্ষণ করছি।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলের পর দেশের অনেক এলাকায় তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে ঢাকা, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী. ফেনী, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট, পটুয়াখালী জেলাসহ সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলায় এখনও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।