নিবন্ধিত চিকিৎসক অনিবন্ধিত কেন্দ্রে চিকিৎসা দিলে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। গতকাল মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির জানান, দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে নিবন্ধনের আওতায় আনার কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স নম্বর প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিকিৎসককে চিকিৎসা দেয়ার আগে ওই প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত কি না, তা দেখে নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ষাটোর্ধ্ব, ফ্রন্টলাইনার এবং গর্ভবতী অর্থাৎ বেশি ঝু্ঁকিতে যারা রয়েছেন, তাদের সেকেন্ড বুস্টার অর্থাৎ করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়া হবে বলে জানান ডা. আহমেদুল কবির।আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয় ক্লিনিক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ ৭টি সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে এই টিকা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, এই সেকেন্ড বুস্টার ডোজ হবে ফাইজারের টিকা। যাদের মেসেজ দেয়া হবে, শুধু তারাই এই টিকা পাবেন। পর্যবেক্ষণের পর ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে সেকেন্ড বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। তবে এই টিকা শুধু যারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন তাদেরই দেয়া হবে।
আহমেদুল কবির বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে ১০০ জন করে টিকা পাবেন। তৃতীয় ডোজ দেয়ার চার মাস পূর্ণ হলেই এ ডোজ দেয়া হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।