রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ ও গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের আশ্বস্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কোনোভাবেই পণ্যের দাম বাড়ানো চলবে না। বিকেলে সচিবালয়ে ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের সাথে মন্ত্রীর বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এনায়েতুল্লাহ বলেন, পরিবহন ও চাঁদাবাজির বিষয়টি মৌলভীবাজারে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার রুটটা একটু খেয়াল রাখেন।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা হলে তো আমাদের কিছু করার থাকে না।
সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, সব আইটেম আছে, আপনারা কো-অপারেশন করেন, আমরা কো-অপারেশন করি আপনাদের সাথে, বাজারটাকে স্থিতিশীল রাখি।
চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে আশ্বস্ত করে কোনভাবেই পণ্যমূল্য না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী।
ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের জন্য সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে অতি মুনাফা না করলে দাম বাড়বে না।
সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, আট আনা থেকে এক টাকার বেশি লাভ করতে পারবে না। যদি এ সিস্টেমটা ডেভেলপ হয় কোনোদিনই তর্ক-বিতর্ক আসবে না।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এনায়েতুল্লাহ বলেন, আট আনা লাভ- এটা অনেক, খুচরা পর্যায়ে আপনারা যদি নিয়ন্ত্রণ করেন তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।
রমজানে ৩ লাখ টন ভোজ্যতেল, ৩ লাখ টন চিনি, ৫ লাখ টন পেঁয়াজ, ৮০ হাজার টন ছোলা, ১৮ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে।