১১ জুলাই ছিল কোপ আমেরিকার ফাইনাল খেলা। দুই জনপ্রিয় দল আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল ফাইনালে খেলেছে। এই খেলা নিয়ে উত্তেজনা ছিল সবখানে। দুই দলের সমর্থকরা লাঠিসটা নিয়ে মারামারিও করেছে। ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় পুলিশ মাঠে নেমেছিল দাঙ্গা ঠেকাতে। এখন শোস্যাল মিডায়াতে আক্রমন চলছে সমর্থকদের। খেলা নিয়ে সমর্থকদের খেলাটিও কম উত্তেজনার ছিলনা। খেলা নিয়ে বাংলাদেশে মানূষের উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও দুই শ মানুষের। গরুর হাটে লোক সমাগম শুরু হয়েগেছে। প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে গরু আসছে ঢাকায়। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা সেখানেও। দেশে এখন ৩৩% শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। সতর্ক না হলে এই হার ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু রাস্তায় বাস আর সি এন জি ছাড়া গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক। দোকানপাটও ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ফেরি ঘাটে এম্বুলেন্স আর মালাবাহী গাড়ী ছাড়া পারাপার নিষিদ্ধ হলেও চলাচল বন্ধ হয়নি। এমন অসতর্ক অবস্থা চলতে থাকলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। হাসপাতালে ডাক্তারের স্বল্পতা ধরা পরেছে। অক্সিজেনের অপ্রাপ্তি প্রথম দিন থেকেই বিদ্যমান। যেসব ডাক্তার বি সি এস উত্তীর্ন হয়ে নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে, তাদেরকে দ্রুত নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে অনেকে। স্বল্প আয় এবং নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা ভাল নেই। লক ডাউনের কারনে অর্থ সঙ্কট শুরু হয়ে গেছে। শিঘ্রই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না এলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে দেশে। এই বিপর্যয় থেকে দ্রুত উত্তরনের পথ একটাই – স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করুন।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।