কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিঁখোজ হন আব্দুল্লাহ আল মামুন। ৮ জুন বেলা ১টার পর থেকে তার কোন সন্ধান মেলেনি।
মামুনের পরিচিত বড় ভাই হুসাইন বাবু বলেন, ‘মামুন বাড়ি ফেরার পথে যশোরে থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
তার পরিবার সূত্র জানাই, গত ০৮ জুন সকালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হতে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্য্যে বের হওয়ার সময় পরিবারের সাথে তার কথা হয়। সকাল ১১টার দিকে মামুন যশোর হতে একটি মাইক্রোবাসে চড়ে সাতক্ষীরার পথে রওনা দেয়। এসময়ও মামুনের সাথে তার পরিবারের কথা হয়। কিছুক্সণ পর থেকে মামুনের সাথে তার পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর এক দিন পর মামুনের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক প্রথমে সাতক্ষীরা থানা পরে যশোর থানায় ছেলে নিখোজের জন্য জিডি করতে যায়। ১০ জুন সর্বশেষে ইবি থানাতে ছেলে নিখোজের জন্য জিডি করে। জিডি নং ৩২৫/১৯।
গতকাল রাত ১০টার দিকে অপহত মামুন সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক এলাকা থেকে অজ্ঞাত মোবাই নম্বর থেকে রিং করে পরিবারকে জানায়। বর্তমানে সে অনেকটা অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধী রয়েছে। কর্তব্যরত ডাক্তার জানান,কয়েক দিন অচেতন থাকায় সে চোখ খুলতে পারছে না। এবং স্বাভাবীক ভাবে কথা বলতে পারছে না।
মামুনের বাবা সিদ্দিক জানান, তাকে মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞান পার্টির লোকেরা গতকয়েক দিন ধরে একটি কক্ষে চোখ বেধে রেখে ছিল। তার কাছ থেকে নগত ২০ হাজার টাকা,ল্যাপটব এবং মোবাইল নিয়ে নেয়। তার ছেলে পড়া লেখার পাশাপাশি একটি মসজিদে নামাজের ইমামতি করতেন । এরপরেও জীবিত ছেলে পেয়ে মামুনের পরিবার পুলিশ প্রশাসন সহ সকলকে দোন্যবাদ জানিয়েছে।
তার নিখোজ নিয়ে নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন ডিপার্টমেন্ট এর মেধাবী ছাত্র। #হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। ৮ জুন কুষ্টিয়া থেকে সকাল ৯টায় শ্যামনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দুপুর ১টায় যশোর পৌঁছায়। পরে দুপুর ২টায় তাকে দুবার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। ৩টা থেকে তার কাছে থাকা দুটি নাম্বারই (০১৭৪৯৮৫১৮৭৫/০১৬৩৭৩৫২৩৩৮) বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। উল্লেখ্য তার মোবাইলে যথেষ্ট চার্জ ছিলো। সেই থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে সে হয়তো কোন ছিনতাইকারী/করে আসছেঅজ্ঞান পাটির কবলে পড়ছে।