নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের আঘাত হানাকে এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আবহাওয়া হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই দুর্যোগের কারণে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে তৃতীয় বারের মতো জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। খবর বিবিসি।
দেশটিতে কোভিড অতিমারি শুরুর পর ও ২০১১ সালে ক্রাইস্টচার্চ ভূমিকম্পের পর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই ঝড়টি যে এলাকায় আঘাত করে সেখানে দেশটির পাঁচ কোটি জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ লোক বাস করে। আজ বুধবার ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে নর্থ আইল্যান্ড থেকে সরে গেছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ঝড়ে নদীর তীর উপচে পানি প্রবেশ করে লোকজনের বাড়িঘরে। এসময় বাড়িঘর থেকে সাঁতরে বের হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যান। এছাড়া অনেক লোকজন বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেন।প্রায় আড়াই লাখ লোক এখনো বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। গাছ ভেঙে অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে, ভূমিধসে বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তাঘাট।
ওপর থেকে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায় উপদ্রুত এলাকায় লোকজন এখনো বাড়িঘরের ছাদে সাহায্যের আশায় অপেক্ষা করছে।
ঘূর্ণিঝড়ে নর্থ আইল্যান্ডের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব উপকূল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশি ক্ষতি হওয়া এলাকার মধ্যে রয়েছে হকস বে, কোরোমানডেল ও নর্থল্যান্ড।
এদিকে, ঝড়ে ক্ষতির মাত্রা এতো বেশি যে স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ তা সামাল দিয়ে ওঠতে পারছে না। এ ব্যাপারে অস্ট্রলিয়া ও যুক্তরাজ্য সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন