নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফ্ল্যাট থেকে তার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, মৃতদেহের মাথা, দুই হাত, দুই পা- সব শরীর থেকে আলাদা করা ছিল। এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানা যায়নি। ফাহিমের খোঁজ না পেয়ে তার বোন পুলিশকে ফোন করলে ম্যানহাটনের ফ্ল্যাটে গিয়ে তারা ফাহিমের খণ্ডিত দেহ উদ্ধার করে। দেহের পাশে একটি বৈদ্যুতিক করাতও পাওয়া গিয়েছে। মৃতদেহ থেকে হাত, পা ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে পাশের একটি ব্যাগে রাখা হয়েছিল।
গতবছর সাড়ে ২২ লাখ ডলারে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন ফাহিম। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোমবার ফাহিমকে লিফটে উঠতে দেখা গিয়েছে। তিনি লিফটে ওঠার পরপরই তাকে অনুসরণ করে স্যুট পরিহিত আরেকজনকেও উঠতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক ও মাথায় হ্যাট ছিল। নিজের ফ্লোরে উঠে লিফট থেকে নামার পরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফাহিম। হামলাকারী অত্যন্ত পেশাদার বলে মনে করছে পুলিশ।
৩৪ বছরের ফাহিম সালেহর বাবা সালেহউদ্দিন চট্টগ্রামের, আর মা নোয়াখালীর মানুষ। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে। তিনি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা।