প্রদীপ কুমার দেবনাথ,
১৮ আগস্ট ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার।
আগের মতো এলোমেলো অবস্থানে নেই নাসির সদর হাসপাতাল। পর্যাপ্ত সরঞ্জামের অভাব থাকলেও আন্তরিকতা ও দক্ষতা থাকলে একটি প্রতিষ্ঠানকে কতটুকু এগিয়ে নেওয়া যায় তার বাস্তব উদাহরণ নাসিরনগর সদর হাসপাতাল।
বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায় এখানে আসার পর থেকেই অনেক অচল ইউনিট সচল হয়েছে, ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে, তাৎক্ষণিক রোগীদের সেবা প্রদানের ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র, ঔষধ, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি না থাকায় অধিকতর জটিল রোগিদের শতভাগ চিকিৎসা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী প্রায় প্রতিদিনই আসছে। লক্ষ্য করে দেখা গেছে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের অস্থায়ী শয্যা হিসেবে ফ্লোরে এমনকি ডাক্তারের চেম্বারেও শয্যা করে ভর্তি করা হচ্ছে।
রোগীদের প্রতি ডাক্তার ও নার্সদের ব্যবহার ও আন্তরিকতা লক্ষ্য করার মতো। এছাড়া কর্মচারীদের কর্মব্যস্ততা দারুণ আকর্ষিত করে।
এখানে সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় চোখে পড়বে কোন ইউনিটে কি কি ঔষধ, ঔষধের মেয়াদ, পরিচর্যায় কে কখন থাকবে এমন তথ্য দেয়ালে সেঁটে দেওয়া আছে। ময়লা আবর্জনা, পরিত্যক্ত জিনিসপত্র রাখার জন্য আলাদা আলাদা ডাস্টবিনের ব্যবস্থা আছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম প্রসূতি মায়েদের জন্য বিভিন্ন সুব্যবস্থার কথা। তিনি জানালেন প্রসূতি মায়েদের নিরাপদ ডেলিভারি ছাড়াও তাদের আসা যাওয়ার ভাড়াটাও তারা নিজস্ব ফান্ড থেকে দিয়ে দেন। এই ফান্ড তারা নিজেরাই তৈরী করেছেন।
এছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের জরুরি সেবা প্রদানের জন্য তারা Dengue NSI-AG খুলেছেন। সেখানে গিয়ে ৭ জন রোগী ভর্তি পাওয়া যায়। তাদের খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম তারা বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ আছে। রোগীরা জানায় হাসপাতালের ডাক্তার – নার্সরা সবসময় তাদের খোঁজ খবর রাখছেন।
হাসপাতালের প্রত্যেকটা অংশ বেশ পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা হয়েছে। তবে হাসপাতালের সামনে জমে থাকা পানির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বললেন এটাও সরানোর ব্যবস্থা চলছে।