নাসিরনগরে পোল্ট্রি খামারের পঁচা আবর্জনা ও মৃত মোরগ ভয়ংকর দূষণ ও জন দুর্ভোগ তৈরি করছে
প্রদীপ কুমার দেবনাথ, স্টাফ রিপোর্টার ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।।
করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও যখন বিপর্যস্ত, সারাদেশে যখন পরিষ্কার পরিছন্নতার তাগিদ, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, পরিবেশ সবকিছু জীবানু মুক্ত রাখতে সরকার ও সচেতন মহল যখন প্রাণান্ত পরিশ্রম করছে তখন অসচেতন, অতি মুনাফালোভী, মনুষ্যত্বহীন ও বিবেকহীন মানুষগুলো অর্থ উপার্জনের জন্য আরো বেশি মরিয়া হয়ে গেছে। তাদের চিন্তাটা এমন যে, ‘দেশ যাক রসাতলে, আমরা লুটবো দলে দলে।’
বর্তমান সময়ে করোনা প্রতিরোধে পরিষ্কার পরিছন্নতার প্রয়োজন সর্বাধিক। কিন্তু, নাসিরনগরের অনেক এলাকায় এই চিত্রটা ভিন্ন। এমনিতেই যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার বিষয়টাতো আছেই তার উপর জনগণ চলাচলের রাস্তার পাশে স্বল্প দুরত্বে একটির পর একটি পোল্ট্রি খামার। খামারীরা নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই তাদের দূষিত বিষাক্ত বর্জ আবর্জনা, মরা মুরগ-মুরগী, উচ্ছিষ্ট খাবার সহ পরিবেশ দূষণের নিয়ামকগুলো নিয়মিত ফেলছে পাশের জমিতে, খালের পাড়ে বা খোলা জায়গায়। নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক বাজারের পূর্বদিকে দাউরা গ্রামের পাশে খালের পাড়ের জমিতে ও খালে এ দৃশ্য দেখা যায়। এলাকার মানুষকে নাকে কাপড় দিয়ে চলতে দেখা যায়। পুরো এলাকায় পঁচা দুর্গন্ধে সামান্য সময় সেখানে টিকে থাকা দায়। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, ‘বাজান পেয়ারু ছাবরে ( গুনিয়াউকের সাবেক চেয়ারম্যান পিয়ারু সাহেব) কতলা বার কইছি গন্ধে টিহন যায়না, কত জায়গায় নালিশ করছি কাম অয়না। অহন যাই হোক বাড়িত টিহন যায়না)।
ঠিক এমনি এক বাজে অবস্থা ফান্দাউক ইউনিয়নের শতবর্ষপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে। এখানে বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের সামনে একটি মুরগীর খামার ও সেল সেন্টার আছে। এর সামনেই আবার আবর্জনার স্তুপ। খামার ও আবর্জনার দুর্গন্ধ সারাদিন আচ্ছন্ন করে রাখে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী, বাজারে যাতায়ত করা লোকজন সহ হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত এর ভুক্তভোগী। ণবারবার বলা ও অভিযোগের পরও কোন এক অদৃশ্য কারণে খামার মালিক ও পরিবেশ নোংরাকারীরা কর্ণপাতই করেনা। এতে জনস্বাস্থ্য ভয়ংকর হুমকির মুখে। তাই, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় এ ব্যাপারে সরকারি আইন অনুযায়ী জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জনগণ আশা করে।