প্রদীপ কুমার দেবনাথ, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিঃ, রবিবার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির কথিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও নামধারী আওয়ামিলীগ নেতা অনাথ বন্ধু দাসের নামে বেশ কয়েকটি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে দূর্গা মন্দিরে, শ্মশান ঘাট উন্নয়ন মারফত, এবং সদর গৌর মন্দিরের মামলার আসামির নাম কর্তণ ও নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অর্থ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। ৩০ শে অক্টোবর ২০১৬ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীদের বাঁচাতে তিনি ঘুষ বানিজ্য করছেন বলে জানা গেছে। চাপরতলা ইউনিয়নের ভুক্তভোগী বেঙ্গাউতা গ্রামের মোঃ বাহারউদ্দীন, পিতা মৃতঃ আব্দুল আহাদ আবু জানায় গৌড় মন্দির মামলা থেকে নাম কর্তন করবে বলে তার নিকট থেকে ২৫০০০ ( পঁচিশ হাজার) এবং আরো দুই জনের নিকট থেকে ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকা নেয়। দীর্ঘদিন ঘুরার পর যখন তাদের নাম কর্তন ও অন্য নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি তখন তারা চাপ প্রয়োগ করলে সে দায়িত্বপ্রাপ্ত এস.আই ও ওসি সাহেব সহ মন্দির ও পূজা কমিটির অন্য নেতাদেরকেও টাকা দিয়েছেন এবং শীঘ্রই এ বিষয়টির সুরাহা হবে বলে আশ্বস্ত করে। এরপর আরও পাচঁ/ছয় মাস অতিক্রান্ত হলে পূজা উদযাপন কমিটি ও মন্দির কমিটির সেক্রেটারির কাছে নালিশ করলে অনেক চেষ্টার পরও টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেননি। অধ্যবধি টাকা ফেরত না পেয়ে গত ১১/০৯/১৯ তারিখে নাসিরনগর প্রেসক্লাবে এসে এ ব্যাপারে নালিশ করে। এ সময় প্রেসক্লাব সভাপতি ও কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও নাসিরনগরের শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরের নামক অস্তিত্বহীন একটি মন্দিরে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বরাদ্দকৃত ১০,৩৪০ ( দশ হাজার তিনশত চল্লিশ) টাকার চেক নিজ নামের একাউন্টে সোনালি ব্যাংক, নাসিরনগর শাখায় ২৩/০৬/২০১৯ খ্রিঃ জমা দিতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত একাউন্টে চেকটি জমা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাছাড়া উক্ত নামস্বর্বস্ব মন্দিরের নামে নাসিরনগর পশ্চিমপাড়ায় কোন কমিটি না গঠন করেই লোক চক্ষুর অন্তরালে নাসির নগর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির অফিসে তার মনগড়ামতো বিভিন্ন পাড়া থেকে তার নিজস্ব লোক দিয়ে অর্থ আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে অস্তিত্বহীন একটি কমিটি দাখিল করে। উক্ত এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় এ ব্যাপারে তাদেরকে কেউ কিছু জানায়নি। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।