জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দেশের প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।মমতাজউদদীন আহমদকে দেখতে গিয়েছিলেন তারই ঘনিষ্ঠ সহকর্মী অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী। তিনি (শনিবার) রাত পৌনে নয়টার দিকে জানান, সত্যিই মমতাজউদদীন আহমদ এর অবস্থা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার শরীর অক্সিজেন পাচ্ছে না। কার্বন ডাই–অক্সাইড বেরিয়ে যাচ্ছে। মস্তিষ্কে পানি জমে গেছে।তিনি আরও জানান, মমতাজউদদীন আহমদের ছেলে ডা. সেজান মাহমুদ তিতাস যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছেন। তার কাছে স্যারের পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলাম। তিতাস জানিয়েছেন মোটেও বিপদমুক্ত নন তিনি। অবস্থা এমন যে, এ পরিস্থিতিতে অলৌকিক কিছু না ঘটলে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার বেশি রোগীকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব না।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা তাকে আইসিইউতে রাখার পরামর্শ দেন। এর আগে তিনি একাধিকবার লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরে এসেছিলেন।উল্লেখ্য, অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। এক অঙ্কের নাটক লেখায় তিনি বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন। বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পাশাপাশি বাংলা ও ইউরোপীয় নাটক বিষয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
সুত্র : আরটিভি