কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বোন দুলা ভাইয়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলায় হাফছা খাতুন খুশি (৩) নামের এক শিশুকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে শিশুটির জেঠাতো বোনের স্বামী আব্দুল গণি (২২)। এ ঘটনায় আব্দুল গণিকে গ্রেফতার করেছে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের আস্করনগর পোলাদিটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুরতহাল শেষে সন্ধ্যার দিকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোমবার খুশির বাবা বাবু মিয়া একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, আস্করনগর পোলাদীরপাড় এলাকার বাবু মিয়ার স্ত্রী কলি আক্তার দাম্পত্য কলহের কারণে বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে চলে যায় প্রায় তিন মাস আগে। এদিকে বাবু ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করার স্বার্থে সেখানে থাকেন। তাদের মেয়ে হাফছা আক্তার খুশিসহ তিন বোন বাবু মিয়ার ছোট বোন শাহিদা বেগমের বাড়িতে থাকত।গত ৪ সেপ্টেম্বর খুশির জেঠাতো বোন আঙ্গুয়ারার বিয়ে হয় পাশের আস্করনগর মন্ডলেরকুটি গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে আব্দুল গনির সঙ্গে।
বাড়িতে ঘর সঙ্কট থাকায় নতুন বর-কনে বাবুর ঘরে থাকত। এক পর্যায়ে তাদের মিলন কার্য দেখে ফেলে খুশি। দুষ্টুমির ছলে খুশি আব্দুল গণির লুঙ্গি টান দেয়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খুশিকে শায়েস্তা করার সুযোগ খোঁজে আব্দুল গণি। রোববার বেলা ১১টার দিকে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে খুশিকে ঘরে ডেকে নিয়ে বিছানায় ফেলে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য লাশের গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের বাঁশের ধর্ণায় ঝুলিয়ে রেখে ঘর তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে আত্মাহত্যার খবর রটালে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।ঘটনার তিন ঘন্টা মধ্যে আসামি আবদুল গনিকে গ্রেফতার করা হয়।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবিউল হাসান বলেন, আসামি গণি মিয়াকে তিন ঘন্টার মধ্যে আটক করা হয়েছে। পরে আদালতে পাঠালে আদালতেও সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার সাক্ষী গণির নববধূ আঙ্গুয়ারা এবং শাশুড়ি আমিনা বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে বলেও জানান তিনি।