তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করছেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকা মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক। শনিবার রাতে শহরের এক প্রেসক্লাব হল রুমে এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিসবাহুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাধাপদ দেব, কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এসএসএম আজাদুর রহমান প্রমুখ।
মতবিনিময়কালে মনসুরুল হক বলেন, একটি নান্দনিক শ্রীমঙ্গল পৌরসভা গড়তে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। পেয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনোয়ন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মৌলভীবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন ও তার পাশাপাশি শ্রীমঙ্গল দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে নিষ্ঠার সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন। একটি নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন পৌরসভা গড়তে পৌরসভার মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সামিল হয়েছেন তিনি।
সৈয়দ মনসুরুল হক বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৩৫ বছর অব্দি জনগণের আশা-আঙ্খাক্ষা ধারণ করে রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা, শিক্ষাসহ সকল কর্মকাণ্ডে নিজেকে জরিয়ে আছি। আমাদের শ্রীমঙ্গল একটি পর্যটন নগরী। দেশ বিদেশ থেকে এখানে পর্যটকরা আসেন। আমাদের শহরের যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা পরে থাকে। রাতের বেলা সড়কবাতির বেশীরভাগই জ্বলে না, অবৈধভাবে চলা যানবাহনের কারনে যানজট নিত্য দিন লেগেই রয়েছে। নাগরিক সেবায় পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে যতটুকু সেবা পাওয়ার কথা তার অনেক কম সেবা পান জনগণ। আমার কাছে প্রায়ই লোকজন আসেন তাদের বিভিন্ন সমস্যা বিষয় নিয়ে। তারা মেয়র সাহেবের কাছে যেতে পারেন না, সাধারণ জনগনের সাথে মেয়রের দূরত্ব অনেক।
তিনি বলেন, আমাদের এই পৌরসভার অনেক ভোটার রয়েছেন যারা শ্রীমঙ্গল শহরের বাহিরে থাকেন এবং ভোটের সময় এসে তারা ভোট দিয়ে চলে যান এমন অভিযোগের তীর ছুড়ে দিয়েছেন। আমাদের পৌরসভার অসহায় মানুষেরা সরকারের বিভিন্ন প্রনোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে শহরে অনেক কিছুই করা যেত। নির্বাচনকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই গত দশ বছরের কাজ একসাথে করা শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এতদিন জনপ্রতিনিধিরা কি করলো বুঝলাম না?
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ নির্বাচন বিহীন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার জনগণ প্রকৃত নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। জনপ্রতিনিধিরা মনে করেছিলেন সীমানা বর্ধিত করন মামলা দিয়ে পৌরসভার নির্বাচন আটকে রাখবেন। সে জন্য তারা পৌরবাসীর কথা কানেই দেন নি। আমি চাই আমাদের পৌরসভার আর কোন জনগন সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরবে না। আমি মেয়র হলে পৌরসভার সব কাজে আধুনিকায়ন নিয়ে আসবো। পৌরবাসী বাসায় বসেই নাগরিক সেবা পাবেন। আমাকে শ্রীমঙ্গলবাসী সব সময় কাছে পেয়েছেন। জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নে আমি কাজ করবো। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে একটি নান্দনিক পর্যটন শহর হিসেবে শ্রীমঙ্গলকে গড়ে তুলবো।
উল্লেখ্য, শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর। এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে প্রার্থী এসব বক্তব্য তুলে ধরেন।