প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে জরুরি ভিত্তিতে চার্টার্ড বিমান পাঠিয়ে রেমডেসিভির ও রেমিভির ওষুধ নিয়ে গেল আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া। একজন গভর্নর করোনা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়ায় তার চিকিৎসার জন্য একটি চাটার্ড বিমান পাঠিয়ে এসব ওষুধ সংগ্রহ করে দেশটির সরকার।
আজ রবিবার (৭জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
ওষুধ নিতে নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিওফ্রে ওনিয়ামা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে গতকাল গভীর রাতে ফোন করে চার্টার্ড বিমানটি ঢাকায় অবতরণের বিষয়ে অনুমতিসহ এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেন।
তারই প্রেক্ষিতে দেশটির রাজধানী আবুজা থেকে রওনা হয়ে বিমানটি জেদ্দা হয়ে আজ বিকাল ৫টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। পরে ওষুধ সংগ্রহ করে বিমানটি অল্প সময়ের মধ্যে নাইজেরিয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিশেষ বিমানটি রেমডেসিভির, রেমিভির এবং স্বল্প সংখ্যক পিপিই ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী স্যাম্পল হিসেবে সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এসব ওষুধের কার্যকারিতা সাপেক্ষে নাইজেরিয়ার সরকার সেদেশে এসব ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বাংলাদেশ থেকে আমদানি করবে।
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত যে ওষুধটিকে সবচেয়ে বেশী কার্যকার বলে মনে কর, সেটি হলো- ‘রেমডেসিভির’। এটি আবিষ্কার করে জিলেড নামক একটি আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বেক্সিমকো, ইনসেপ্টা, স্কয়ার, বিকন ও এসকেএফসহ দেশের আটটি ফার্মাসিউটিকাল প্রতিষ্ঠানকে ‘রেমডেসিভির’ উৎপাদন করার অনুমতি দিয়েছে।
এর মধ্যে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড যে রেমডেসিভির উৎপাদন করেছে তার বাণিজ্যিক নাম ‘রেমিভির’। গার্মেন্টস মার্কেটিং কোম্পানি ভূঁইয়া ইন্টারন্যাশনালের সিইও কবির আহমেদ ভুঁইয়ার মাধ্যমে এসব সামগ্রী বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করে নাইজেরিয়ার সরকার।