প্রদীপ কুমার দেবনাথ, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি: গতকাল শুক্রবার নরসিংদী জেলার কয়েকটি বাজার ও হাট ঘুরে দেখা যায় এখানকার পেয়াঁজ ও সবজির বাজারে চরম অস্থিরতা। একেক বাজারে একেক রকম দাম। ক্রেতাদের অভিযোগের অন্ত নেই আবার বিক্রেতাদেরও হাজার অজুহাত।
জেলা সদরের ভেলানগর, সদর, হাজীপুর, শিবপুর সদর, ইটাখোলা (মুন্সেফচর),যোহর বাজার, মরজাল বাজার, বারৈচা বাজার, বেলাব সদর, পোড়াদিয়া বাজার, মনোহরদীর শেখের বাজার, মনোহরদী সদর, হাতিরদিয়া বাজার, চরসিন্দুর বাজার, ঘোড়াশাল, পাঁচদোনা, রায়পুরা প্রত্যেকটি বাজারে সবজি ও পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম এবং দামের ভিন্নতা সুস্পষ্ট। এসব বাজারে কোথাও পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা, কোথাও ৯০-১১০ টাকা।
বেলাব বাজার, হাতিরদিয়া বাজার ও মনোহরদী বাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দর হাঁকাচ্ছে অন্য দিকে ক্রেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। পলাশ পারুলিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল মিয়া বলেন, মহাজনদের একেক সময় একেক দাম হাঁকানো আমাদের জন্য কাল হয়ে গেছে। কাস্টমারদের নিকট অনেকটা হালকা হয়ে যাচ্ছি। নিজেও অনেক লোকসানে আছি। সদরের ব্যবসায়ী ( নাম না প্রকাশ করার শর্তে) বলেন, ইন্ডিয়া পেঁয়াজ বন্ধ করার পরপরই একটি বিশেষ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যুক্তি করে বিশেষ বার্তায় সারা বাংলাদেশেই হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। এ প্রসঙ্গে মনোহরদী সদরের ব্যবসায়ী দুলাল সাহা বলেন, আমরা বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনে ক্রেতাদের নিকট কম দামে বিক্রি করব কিভাবে?
সবজি বাজারগুলোতেও চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বেগুন, টমেটো, ডাটা, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, করলা, লাউ, চালকুমড়া, কাঁচা মরিচ, পেঁপে এসবের দামের চরম ভিন্নতা লক্ষণীয়। বেলাব চকমখোলার ক্রেতা চাঁনমিয়া বলেন, প্রত্যেকটা সবজির দাম বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন রকম। বাজারে ঢুকলে গোলকধাঁধায় পড়ে যেতে হয়। সবজি আর পেঁয়াজ কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে যায়।
নরসিংদী সদরের সবজি ব্যবসায়ী হিরণ বলেন, এখন সবজি পাওয়া কঠিন। বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে চড়া মূল্যে সবজি কিনে আমরা ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করছি। ক্রেতারা প্রতিনিয়তই আমাদের সাথে রাগারাগি করছে।
আমরা আছি উভয় সংকটে। সার্বিক পর্যবেক্ষণে জেলার সর্বত্র পেঁয়াজ ও সবজির এ অস্থিরতা এখন চরম পর্যায়ে। যদিও জেলা প্রশাসন বাজারের অস্বাভাবিকতা রোধে প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে সাধারণ জনগণ এ অবস্থার খুব দ্রুত পরিবর্তন আশা করছে।