প্রাণঘাতী করোনায় তাণ্ডবে যখন কাঁপছে গোটা বিশ্ব ঠিক তখনই ভ্রমণবিলাসীদের সাগরপথে বেড়িয়ে পড়েছিল নরওয়ের প্রমোদতরী এমএস রোনাল্ড আমান্ডসেন। কিন্তু জলে ভাসতে ভাসতে আর এক বন্দর থেকে আর এক বন্দরে নোঙর করতে গিয়ে কখন মারণ ভাইরাস হানা দিয়েছে প্রমোদতরীর অন্দরে, তা ঘুণাক্ষরে বুঝতে পারেনি কেউই।
গত শুক্রবার নোঙর করার পরেই যাত্রী আর জাহাজের ক্রু’দের করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে ৫ যাত্রী আর ৩৬ ক্রু’র শরীরে শনাক্ত হয়েছে মারণ ভাইরাস। আর তার পরেই আপাতত সব প্রমোদতরীর যাত্রীদের মাঝ বন্দরেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে নরওয়ে সরকার।
এমএস রোনাল্ড আমান্ডসানে করোনা হানা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে ওই প্রমোদতরীতে থাকা পর্যটক ও যাত্রীদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে ওই প্রমোদতরীর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা হার্টিগ্রুটেন। তবে রোলাল্ড আমান্ডসানে করোনাভাইরাস হানা দেওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে নরওয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশে যাতে মারণ ভাইরাস ফের থাবা বসাতে না পারে তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সোমবার দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেন্ট হোয়ি জানিয়েছেন, একশোর বেশি পর্যটক রয়েছে এমন কোনও প্রমোদতরীকে নরওয়ের কোনও বন্দরেই নোঙর করতে দেওয়া হবে না। জলেই ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানিয়েছেন, গত শুক্রবার থেকে নরওয়ের উত্তরাঞ্চলীয় ট্রমসো বন্দরের কিছুটা দূরে নোঙর করে রাখা হয়েছে রোনাল্ড আমান্ডসান। ওই প্রমোদ তরীর কয়েকশ’ যাত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব যাত্রীর কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর মুখেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের যাত্রী ও ক্রু’দের শরীরেও মারণ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। সুত্রঃ দিজ মোমেন্ট।