আজিজুর রহমান প্রিন্স, ঢাকা, বাংলাদেশ: তিনটি শুন্য আসনের উপ-নির্বাচন হবে আগামি ১৬ই জুলাই ২০২১। এই নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনায় এসেছেন অনেকেই। কোন কোন আসনে অর্ধ শত প্রার্থীর নামও শোনা গেছে। প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারনা হয়েছে গনমাধ্যমে। দলের নেতা-কর্মী ব্যবসায়ীরাও ছিল প্রার্থীর তালিকায়। এলাকায় দেখা গেছে রঙ বেরঙের পোষ্টার। সকলেরই প্রত্যাশা ছিল তিনিই হবেন নৌকার মাঝি। অবশেষে সব ভাবনার অবসান ঘটিয়ে চুড়ান্ত নাম ঘোষনা করেছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি বোর্ড। আজ প্রার্থীদের চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছেন ঢাকা-, ১৪ আসনে আগা খান মিন্টু, কুমিল্লা – ৫ আসনে জনাব আবুল হাশেম খান এবং সিলেট-৩ আসনে হাবিবুর রহমান। এই আসনের সাংসদদের অকাল মৃত্যতে আসনগুলি শুন্য ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীতার তালিকায় দুই মৃত সাংসদের বিধবা স্ত্রীরাও ছিলেন। গুরত্বপুর্ন পদে থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছেন সহযোগী সংগঠনের নেতা। সকলেই চান রাজনীতির সব স্তরে নিজেদের কতৃত্ব। স্ত্রী ছেলে মেয়ে নাতী নাত্নীরাও চায় ডাইনেষ্টি ধরে রাখতে। কেন? কি আছে রাজনীতিতে কেন এই প্রতিযোগিতা? আছে। অনেক সুবিধা আছে। একবার নির্বাচিত হলে জনগনের কিছু হউক আর না হউক এম পি সাহেব দের জীবন আর ভাগ্যের চাকাটি ঘুড়ে যায়। নির্বাচন ব্যবসাতেই লাভ বেশী। ব্যবসায়ীরাও তাই অর্থ ব্যয় করে হলেও দলের টিকেটে নির্বাচন করতে চায়। একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে যোগ্যতাটিও দেখেনা কেউ।
বড় বড় নেতারা অযোগ্য প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দিয়ে সুবিধা আদায় করেন নানা ভাবে। ত্যাগী কর্মীরা অবহেলিত হয় পদে পদে। পদোন্নতি না পেয়ে কর্মী বাহিনী হতাশ হয়ে থেমে যায়। রাজনীতির এই লোভটি সংবরণ করা গেলে রাজনীতি বদলে যেত বহু আগেই। জনগন এম পি চায় না একজন সৎ নেতা এবং জননেতা চায়। জনতার স্বার্থে নিজেকে নিয়োজিত করে জনগনের হয়ে কাজ করার জন প্রতিনিধি চায়। একটি কথা সব দলের জন্যই প্রযোজ্য ” টাকা হলেই নেতা হওয়া যায়”।
সরকারী দলের নেতাদের প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে। ব্যক্তিগত আচরনই এর কারন। তাই সময় এসেছে দলে নতুনের আগমন। নেতারা মূখে বললেও কোন নির্বাচনেই দলের এই নীতিটি অনুসরন করা হয়নি। ফলে এম পি’দের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতির। বিদেশে আটক হয়েছে জাতীয় সংসদের সদস্য হয়েও। ব্যবসায়ী আর বিত্ত্বশালীরা ঢুকে যাচ্ছে দলে। ভিন্ন দলের নেতারাও মূখোশ পালটে নেতৃত্ব নিয়ে নিচ্ছে মার খাচ্ছে ত্যগী কর্মীরা। এবার এই ৩ আসনের প্রার্থী নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি বোর্ড বিষটি গুরত্ব দিয়েছে। সঠিক পাত্র নির্বাচন করেছেন দলের জন্য। দলের এই নীতি তৃনমুল পর্যায় পর্যন্ত বজায় থাকলে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের আস্থাটি ফিরে পাবে। কর্মী বাহিনীও স্বক্রিয় হবে উৎসাহে। যে তিন প্রার্থীকে দল নির্বাচিত করেছে তাদের জন্য শুভ কামনা রইলো। প্রত্যাশা রইলো তারা জনগনের হয়ে জনগনের জন্য কাজ করবেন।