ঢাকার নাবাবগঞ্জে নমুনা শস্য কর্তনের মধ্য দিয়ে বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। ফলন বাম্পার হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে রয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সংকট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে এক মাসের মধ্যে উপজেলার সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলার শোল্লার সিংজোড় গ্রামের নমুনা শস্য কর্তনের মধ্য দিয়ে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটার ধুম পড়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ব্রি-২৮ ও ২৯ জাতের ধানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নিচু এলাকায় আবাদ করা দেশি ও ব্রি-২৮ জাতের ধান বিক্ষিপ্তভাবে কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। মাঠ জুড়ে আধাপাকা ধানের সমাহার।
সিংজোড় গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘এই বছর বোরো ধানের ফলন ভাল হইছে। আজ থেইকা কেউ কেউ কাটা শুরু করছে। পুরাদমে কাটা শুরু করতে আরও দশ-পনের দিন লাগব।’
নাবাবগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা যেন বোরো ধান নিরাপদে-নির্বিঘে ঘরে তুলতে পারেন সে লক্ষ্যে নানা ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনকে কৃষিশ্রমিকদের তালিকা সরবরাহ, অসুস্থ হলে চিকিৎসককে জানানো, কৃষি যন্ত্রপাতির দোকান বন্ধের আওতামুক্ত, বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক না আনা ইত্যাদি।
নাবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুজ্জামান বলেন, ‘এবার নাবাবগঞ্জে বোরা ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলা চলে। আজ সোমবার থেকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব। ব্রি-৮৮ জাতের ধানের নমুনা শস্য কর্তনের মোট ফলন ৭.২৫ মেট্রিক টন। এমনটা হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
নমুনা শস্য কর্তনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী উদ্ভিদ সরক্ষণ কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ ও আওনা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ।