অলিউর রহমান মেরাজ, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সড়কের দুই ধারে সরকারিভাবে লাগানো গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এবং চোর আটক করেও ছেড়ে দেওয়ার কারণে রাস্তার গাছগুলো প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
রাস্তার পাশে লাগানো বন বিভাগের গাছ চুরির সময় হাতে নাতে দুই চোরকে আটক করেন স্থানীয় জনতা। এসময় এলাকাবাসীকে মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে এক চোর পালিয়ে গেলেও এলাকাবাসী স্থানীয় বন বিভাগকে খবর দিলে ঘটনা স্থালে উপস্থিত হয়ে আটকৃত ১ জন চোরকে তাদের অফিসে নিয়ে যায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে আবার সেই চোরকে ভাদুরিয়া ইউপি সদস্য মমিনের কথামতো ছেড়েও দিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তা। তবে ইউপি সদস্য বললেন তিনি ছেড়ে দিতে বলেননি বরং বিচার করতে বলেছেন।
জনতার হাতে আটককৃত চোর’রা হলেন, উপজেলায় পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের মোঃ তসলিম উদ্দিনের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম ও মোঃ মতিয়ার রহমানের ছেলে আনিছার রহমান। সোমবার দিবাগত রাত ২ টায় উপজেলার মাহামুদপুর ইউনিয়নের কাসাগাড়ী এলাকা থেকে তাদের আটক করেছিলেন স্থানীয় জনতা।
মসজিদ কমিটির সভাপতিরা বলছেন, বন বিভাগের কর্মকর্তারা কখন চোর ধরছেন,কখন ছেড়ে দিয়েছেন তাদের এ বিষয় কিছুই জানাননি কর্মকর্তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাদুরিয়া বন বিভাগের কর্মকর্তা নুরুলহুদা বলেন, রাস্তার গাছ চুরি করার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী দুই চোরকে হাতে নাতে আটক করে আমাদের খবর দেয়। তবে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই এক জন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল একজনকে আটক করে অফিসে আনা হলেও তাকে মমিন নামে একজন ইউপি সদস্য ও সে জীবনে আর কোনোদিন গাছ চুরি করবে না এমন কথায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য মমিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি চোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, চোরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তাকে অনুরুধ করেছেন তিনি। তার কথা মতো চোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা।
বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় নামা কাঁঠাল, পশ্চিম ফতেপুর, মুরাদপুর ও অফিস পাড়া গ্রামের মসজিদ থেকে যৌথভাবে এলাকাবাসীরা ভাদুরিয়া বিট অফিস থেকে ভাদুরিয়া বাজার ও কাসাগাড়ি চার রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই ধারে আকাশমণি ও ইউক্যালিপটার দুই প্রজাতির গাছ লাগান।