চলতি ভরা বর্ষা মৌসুমে আষাঢের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় নওগাঁর আত্রাই উপজেলা সহ বেশকিছু উপজেলার নদ-নদী, খাল-বিলে আশানুরুপ পানি জমেনি। নেই কোন স্রোতধারাও, ফলে বাজারে মাছ ধরার জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ও চাই বা খলসানি ক্রয়-বিক্রয়ে নেই তেমন সাড়া।
এছাড়া এসব মাছ ধরার যন্ত্র তৈরিতে ব্যবহারকৃত বাঁশ সুতাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের মূ্ল্য বেশি হওয়ার কারনেও ক্রেতারা কিনছে সীমিত পরিমানে। এতে করে হতাশায় পড়ছে বাজারে নিয়ে আসা এসব যন্ত্রপাতির বিক্রেতারা।
উপজেলার আহসানগঞ্জ, সমসপাড়া, মির্জাপুর বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে আহসানগঞ্জ হাটের কয়েকজন বিক্রেতা উপজেলার জয়সাড়া গ্রামের ইয়াসিন আলী, ইয়াকুব আলীর সাথে কথা বললে এমন তথ্য জানান তারা।
বগুড়া জেলার একজন কুন্দগ্রামের ক্রেতা সামসুদ্দিনএর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আগে বর্ষার শুরুতে আকাশের পানিতে নদ-নদী,খাল-বিলে পানি থৈ থৈ করত। আর শ্রোতের বিপরীতে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন প্রকার মাছ দেখা যেত। বাজারে দেশিয় তৈরি এসব যন্ত্র কেনার ধুম পড়ে যেত। হাট-বারের দিন ছাড়াও তাড়া বাড়ী থেকে গিয়ে কিনে নিয়ে আসত। এখন আর সেই দিন নেই।
তারা আরো বলেন, বাঁশ,সুতাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এগুলো আর তৈরি হয় না। বিক্রেতারা জানান, মাছ ধরার চাই বা খলসানী এসব দেশি যন্ত্রের এলাকা ভেদে বিভিন্ন নাম রয়েছে এবং খুচরা বিক্রি ও আলাদা আলাদা, বর্তমানে বাজারে প্রতিটি ভরং তিন শত পঞ্চাশ টাকা, খলসা চারশত টেপা দুই শত পঞ্চাশ টাকা, পলাই একশত পঞ্চাশ টাকা, বৃত্তি একশত সত্তর টাকা, ক্যাসেট আশি টাকা, দিরু দুইশত বিশ টাকা ও খলসানী দুই শত পঞ্চাশ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
তবে বাজারে এসব মাছ ধরার যন্ত্রের চাহিদা কম হলেও আকাশের পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলেই এগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তারা।
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি