ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ গত চার থেকে পাঁচ দিনের বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ধরলা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়ভিটা, বুদার চর, চর মেখলি ও বড় বাসুরিয়া সহ মোট ৪টি গ্রাম ধরলা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। গত বছরের ভাঙনে ওই এলাকার ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা, আবাদি জমি, গাছপালা এবং শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ বছর হঠ্যাৎ করে ভাঙন শুরু হওয়ায় ঘরবাড়ী নিয়ে দুচিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তারা। এ অবস্থায় ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গেল বুধবার ধরলা নদীর তীরে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছেন তারা।
বুধবার ধরলা নদীর তীরে মেখলি গ্রামে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন ও সমাবেশে বড়বাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল হক মিঠু সহ স্থানীয় আবুল কাশেম, বদিয়ার রহমান, আব্দুল মতিন, শওকত আলী, সাহেব উদ্দিন ও মমিন মিয়া বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন-নিবেদন করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমনকি কেউ দেখতে পর্যন্ত আসেননি। তাই আমরা মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে অবিলম্বে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।
বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খয়বর আলী জানান, ওই এলাকায় ধরলার ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে কোন লাভ হয়নি। তাই নিঃস্ব হওয়া পরিবার গুলোর তালিকা করা হচ্ছে। তাদের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ত্রান বিতারণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, ওই এলাকার ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ করা হবে।