নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁ সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার সকাল এগারো টার সময় দৈনিক আজকের প্রভাত ও দেশ আজকাল প্রত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মো. সুজন রানা হঠাৎ বুকে ব্যথা ও বমি শুরু করলে তাঁকে মুভি বাংলা টিভি ও দৈনিক চিত্র পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মো. মেহেদী হাসান অন্তর চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে নিয়ে যান। একই সময় ইমারজেন্সির টিকেট কেটে মো. সুজন রানাকে দেখতে গেলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার (ডাক্তার) লুমা মো. সুজনসহ তার রুমে থাকা সব রোগী বের করে দিয়ে ঔষধ কোম্পানির রিপেজেনটিভ নবেল হোসেনের সাথে ওই নবেলেরই দেওয়া রুমে লাগানো পর্দার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে থাকে।
একপর্যায়ে কর্তব্যরত ডাক্তার লুমাকে রোগী দেখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা চড়াও হয়ে ওঠে। এবং রাগিত কন্ঠে বলতে থাকে ওষুধ কোম্পানির লোক যে কোনো মুহূর্তে আসবে এবং ডাক্তার ভিজিট করতে পারবে তাদের কোন নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন নেই। এই বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা নাই। আপনার এতে সমস্যা কি, আপনি ভিডিও কেন করছেন? কার অনুমতি নিয়ে ভিডিও করছেন?
একপর্যায়ে ডাক্তারের অনুমতিতে, ডাক্তার রুমে থাকা ঔষধ কোম্পানির রিপেজেনটিভ নবেল হোসেন ও হাসপাতালের ট্রলি ম্যান জাহিদ এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ভিডিও ধারণ করা মোবাইল কেড়ে নিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করে বের করে দেয়।
এই বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ হাসান চৌধুরী সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শনিবার ছুটির দিন আমি বাসায় ছিলাম। এই বিষয়ে আমি জেনেছি। আজ আসেন বিষয়টি দেখব।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।