কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ৬নং মৈনম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইয়াচিন আলী রাজার আনারস
মার্কার প্রচারনায় অবৈধ ভাবে অভিনব-কায়দায় ভোট কেনার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মৈনম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু সামন্ত
কুমার সরকারের আয়োজনে ২৪নভেম্বর বুধবার দুপুর ২টায় মৈনম বাজার ব্যাংকের মোড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় নিজ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় সামন্ত কুমার সরকার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ৬ নং মৈনম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনীত প্রার্থী। আমার নির্বাচনী প্রচার, প্রচারণার শুরু থেকে ইয়াচিন আলী রাজা, এবং তার নিকট-আত্নীয় স্বজন কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্নভাবে নির্বাচনী প্রচারণায়
বাঁধা, ভয়ভীতি এবং হুমকি, ধামকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে স্থানীয় মান্দা থানায় অভিযোগ ও সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। বর্তমানে ইয়াচিন আলী (রাজা) তার ছেলে আলামিন ও আল মামুন প্রকাশ্যে মৈনম জাফরপুর আদর্শ্য গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের প্রায় ১৬০ জন ভোটারদের কাছে ৩০০ টাকা এবং মিনিষ্টার কোম্পানীর ছাতা দিয়ে ভোট কিনছেন, যাহা চরম ভাবে নির্বাচনী আচরন বিধি লঙ্ঘন করছে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া,মহল্লায় আমার কর্মী, সমর্থকদের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াচিন আলী (রাজা) এবং তার কর্মী-সমর্থকদের সাথে হট্রগোল-গোন্ডগোল মারামারি হচ্ছে। কখন যে এলাকায় একটি ভয়াবহ সংঘর্ষের রুপ নেবে তা বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস, মান্দা রিটার্নিং অফিসার, ইউএনও এবং মান্দা থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি অনতিবিলম্বে যথাযত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করুন ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্রহানী সুলতান মাহমুদ গামা, সাবেকমান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ.বি.এম. হাসান রিপু, মৈনম ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি মোঃ আফাজ উদ্দীন মন্ডল, সিনিয়র সহসভাপতি শ্রী সমন্ত, শ্রী প্রানোনাথ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মিলনসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, আমরা বিষয়টি তদন্ত করেছি, এ তদন্ত রিপোর্ট মান্দা উপজেলার মৈনমের দায়ীত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার বরাবর দিয়েছি, তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবেন।
মান্দা উপজেলার মৈনম ও কাশোপাড়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসারের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, এখনো তদন্ত রিপোর্ট আমার হাতে এসে পৌঁছে নাই, রিপোর্টটি পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।