কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় ফিটনেস লাইসেন্স ছাড়াই আবাসিক এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে কারখানায় তৈরি হচ্ছে নারিকেল তেল। পৌর সভার ট্রেডলাইসেন্স ও বিএসটআই এর অনুমতি থাকলেও নেই সিভিল সাজন অফিস এর স্যানিটরী দপ্তর থেকে নেই কারখানার ফিটনেস লাইসেন্স। এতে করে সাধারণ ভোক্তারা এসব তেল ব্যবহারে পড়তে পারেন মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুকিতে।
অন্যদিকে, আবাসিক এলাকায় এমন কারখানা গড়ে উঠায় ঘটতে পারে যে কোন সময় যে কোন দূর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নওগাঁ শহরের শাহী সমজিদ মৎস্য অফিস গেট সংলগ্ন এলাকার বসবাসকারী আবাসিক মহল্লার একটি বাড়িতে দুইটি রুমে আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তি নিয়ম বর্হিভূত ভাবে গড়ে তুলেছেন খোলা বাজারে কেনা নারিকেল তেল তৈরির কারখানা। গত দেড় বছর যাবৎ তিনি এ কারখানা চালাচ্ছেন। ঐ কারখানাটি ফাতেমা কেমিক্যাল এর লাইসেন্স নিয়ে বোতলে নারিকেল তেল বোতলজাত করে পাতাবাহার নামে মোড়কে নওগাঁ সহ আশ-পাশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকেন।
কারখানায় গিয়ে দেখা যায়,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তেল তৈরির সরঞ্জমাদী। কারখানায় রয়েছে দুটি রিপিয়ারিং মেশিন। সেখানেই খোলা বাজার থেকে নিন্মমানের নারিকেল তেল সংগ্রহ করে বিভিন্ন মেডিসিন ব্যবহার করে উন্নত মানের তেল হিসেবে বাজারজাত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নারিকেল তেলের মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নেই কোন ব্যবস্থা। বেশকিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দিলেও ভিডিও বা চিত্র ধারনের অনুমতি দেয়নি কারখানার মালিক আব্দুল মজিদ। এরপর গোপনে কিছু ছবি ধারণ করা হয় কারখানার।
এ বিষয়ে কারখার মালিক আব্দুল মজিদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এখানে দেড়বছর থেকে ব্যবসা করছি। পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স ও বিএসটিআই এর অনুমতি আছে। তবে অন্যকোন দপ্তরের অনুমতি পত্র নেই। আগামীতে আরও যা যা কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেগুলো করে ফেলবো।
এতদিন থেকে কারখানা দিয়ে নারিকেল তেলের ব্যবসা করছেন কি ভাবে স্যানিটারী দপ্তরের অনুমতিপত্র ছাড়া এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,দেখুন স্থানীয় নেতাকমীসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই চলতে হয়। আপনার সাথে চলুন বসে বিষয়টির সুরহা করে নেই।
এ বিষয়ে নওগাঁ স্যানিটরী ইন্সপেক্টর শামছুল হক বলেন,পাতাবাহার নামে কোন নারিকেল তেল তৈরির কারখানার ফিটনেস ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। আপনি যেহেতু বলছেন আমরা অবশ্যই খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।