কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে নওগাঁয় এক দিন মজুর গরীব অসহায় কৃষকের
৮ কাটা জমিতে রোপনকৃত বেগুনক্ষেত রাতের অন্ধকারে অভিনব কায়দায় নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। মূল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির সন্তান মাসুদ পারভেজ (রিপন) বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর পদে ঢাকার রামপুরা থানায় কর্মরত রয়েছেন। ছেলে পুলিশে চাকুরি করার কারনে নিজ গ্রামে প্রভাব খাঠিয়ে নানা অপকর্ম করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগি কৃষক নওগাঁ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি ( অভিযোগ ) করেছেন।
নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়ন এর বর্ষাইল (খাড়াপাড়া) গ্রামের গরীব কৃষক মো ঃ মোস্তফার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ
বসতভিটা ও মাঠের জমিজমা নিয়ে বহুকাল ধরে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের প্রভাবশালী আলিম উদ্দিনের সাথে।
প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী আলিম উদ্দিন এর দাবি কৃষক মোস্তফার বসবাসরত বাড়ির অংশে ৪শতক জায়গা তিনি পাবেন। এটা বারবার বিরোধের এক পর্যায়ে গ্রাম্য সালিশ হয় উভয় পক্ষকে নিয়ে। সালিশে কৃষক মোস্তফার পক্ষেই রায় আসে।
এরপর প্রভাবশালী আলিম উদ্দিন ক্ষুব্দ হয়ে বিভিন্ন সময় নানাভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান ও মারধর করে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে অসহায় কৃষক মোস্তফা ও তার পরিবার। বিষয়টি নওগাঁ সদর থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নেয়ায় চলতি বছরের ২৩.০৩.২১ইং তারিখে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে উভয় পক্ষের উপস্থিতে কৃষক মোস্তফার পক্ষে রায় দিয়ে আদালত অভিযুক্তদের সতর্ক করলে। প্রধান অভিযুক্ত আলিম উদ্দিনসহ ৪ জনকে সতর্ক করে আদালত। এরপর অভিযুক্তরা আগামীতে আর কৃষক মোস্তফা ও তার পরিবারকে হয়রানি করবেনা বলে মুসলেকা দেয়।
ঐ রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়া রাশেদার বক্তব্য অনুযায়ী, তারা আদালত থেকে ফিরে বুধবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে
প্রধান অভিযুক্ত আলিম উদ্দিনসহ ৪/৫জন মিলে বাড়ির পাশে কৃষক মোস্তফার ৮ কাঠা জমিতে রোপনকৃত বেগুন গাছ অভিনব কায়দায় টেনে উপরে নষ্ট করে ফেলে। নষ্ট করা বেগুন গাছ তারা রাতের অন্ধকারে শু-কৌশলে কোথায় যেন গুপ্ত করে রাখে। এতে তার প্রায় ৯০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
প্রভাবশালী আলিম উদ্দিন বলেন, আজ আমার প্রতিপক্ষ মোস্তফারা এক সময় আমাদের বাড়িতে কাজ করতেন। তবে যে জমিতে তারা বেগুন গাছ রোপন করিয়েছিল, ওই জমির প্রকৃত মালিক আমরা। তাই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় আছে আদালত যে ফায়সালা দেবে আমরা তা মেনে নিব।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সন্দেহ হলে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নওগাঁ মুক্তির মোড় জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নে জমির প্রকৃত
কাগজ নিয়ে ১ম পক্ষ ও ২য় পক্ষকে যাচাইয়ের জন্য ডাকলে ১ম পক্ষ জমির সকল কাগজ পত্র আনলে ওদিকে ২য় পক্ষ কাগজ;তো, দুরের কথা নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আমানুজ্জামান সিউল,আপেল,রতনসহ প্রায় ২০জনকে নিয়ে এসে উল্টো ১ম পক্ষসহ বেশ কয়েক জন শ্রেণীভুক্ত সাংবাদিককে নিউজ না প্রকাশিত করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে চলে যান। উক্ত ঘটনাটি ওখানকার উপস্থিত সাংবাদিকরা নওগাঁর সিনিয়র সাংবাদিক ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে তারা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবে বলে আশ্বস্ত করেন।
এ ঘটনায় কৃষক মোঃ মোস্তফা বুধবার দুপুরে নওগাঁর সদর মডেল থানায় আলিম উদ্দিনসহ ৫জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিকে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানার এ.এস.আই মুক্তার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিন্তু ঘটনাটি তদন্তের জন্য সিনিয়র একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হবে।