কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের মহাভার গ্রামে মৃত বাসতুল্যা মন্ডলের ৯০ শতক জমি জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মৃত বাসতুল্যা মন্ডলের মেয়ে ফরিদা বিবি (৩৮) গং ওয়ারিশ সুত্রে জমির মালিক হলেও জমির দখল নিতে পারেনা প্রভাবশালীদের প্রভাবে। জানা যায় একই গ্রামের মৃত জসিমদ্দিনের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম মন্ডল, মো. হরুন উদ্দিন মন্ডল ও মো. মন্জুর আলি মন্ডলের ছেলে মো. আব্দুর রাজ্জাক ও রবিউল মন্ডল তারা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে ১৯৮৬ সালে মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে নফছের আলি মন্ডলের কাছে থেকে অবৈধ ভাবে জাল দলিল মৃলে বলে ৯০ শতক জমি ক্রয় করেন। যে দলিল মূলে ক্রয় করেন, ওই জাল দলিল ১৩/০৮/২০১৭ ইং আদালতে বাতিল বলে গন্য হয়। এবং মূল জমির মালিক আদালত কর্তৃক ডিগ্রী পায়। ডিগ্রী পাওয়ার পরেও এলাকাতে গিয়েও আজও জমি দখল নিতে পারেনি। তারা
জমি দখল নিতে গেলে জমির অবৈধভাবে দখলদাররা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে আবারও দখলদাররা ডিগ্রি পাওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করে। বর্তমান আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
মৃত বাসতুল্যা মন্ডলের মেয়ে ফরিদা বিবি বলেন, আমার বাবার বুধুরিয়া মৌজার ১২১৪-১৭২৬ দাগে ৯০শতক জমি প্রভাবশালীরা জাল দলিল করে দখল করে নিয়েছে। আমরা অসহায় হাওয়াই আদালতের ডিগ্রী পাওয়ার পরেও দখল পাচ্ছিনা। আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে রাত্রীবেলায় এসে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন রকম মামলার ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা গরীব দেখে কোন সুবিচার পাচ্ছিনা। আমি এবং আমার পরিবার এর লোকজন সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবী আমাকে যেন সঠিক বিচার করে দেওয়া হয়।
বিবাদী মো. নুরুল ইসলাম মন্ডল এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি তার যায়গা দখল করেছে, কাওকে কোন হুমকি প্রদর্শন করেনি, এই বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি নয় বলে জানান।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বদি বলেন, আমরা মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি, দলিল মূলে মৃত বাসতুল্যা মন্ডলের ছেলে-মেয়ে প্রকৃত জমির মালিক, তারা জমি পাবে। এই জমি বিষয়ে কয়েকবার বৈঠক করেও কোন কাজ হয়নি। প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক দখল করে রাখার কারণে মোছা. ফরিদা গংদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ন কবির বলেন, এই বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি, শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে দায়িত্ব দেওয়া আছে, তিনি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।