নওগাঁয় গোয়েন্দা পুলিশ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে। মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রদান করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ গাজিউর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সম্প্রতি জেলা বেশ কিছু মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছিল। এই তৎপরতা রোধ এবং আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে সাধারন জনগণের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের বিশেষ তৎপরতার অংশ হিসেবে এসব অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে।
এই অভিযান চলাকালে পুলিশ সংবাদ পায় যে জেলার মান্দা উপজেলার ভাঁরশো ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চোরাই মোটর সাইকেল বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ জুন বুধবার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের নির্দেশে জেলা বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হাসমত আলীর নেতৃত্বে একটি টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতে নাতে দু’জনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের হেফাজতে থাকা দু’টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো নওগাঁ জেলাধীন রানীনগর উপজেলার মিরপুর গ্রামের তাইজুল ইসলামের পুত্র মোঃ জিয়াউর রহমান ও কোমারপুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের পুত্র মোঃ নাজমুল হোসেন। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহষ্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ঐ টীম অভিযান চালিয়ে রাজশাহী জেলাধীন বাগমারা উপজেলার কাচারী কোয়ালীপাড়া গ্রামের আবেশ আলীর পুত্র আমজাদ হোসেন এবং আবুল কালাম আজাদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে
বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা আরও ৪টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত উক্ত কোমারপুর গ্রামের মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃম আবু তাহেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায় উদ্ধারকৃত ৮টি মোটরসাইকেল-এর মধ্যে ৩টি এ্যাপাচি আরটিআর, ৪টি ডিসকোভার১০০সিসিন এবং ১টি প্লাটিনা ১০০ সিসি।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
অপরদিকে, আত্রাই থানা পুলিশের এএসআই মোঃ রাশেদ আলীর নেতৃত্বে এক অভিযান চালিয়ে আত্রাই নতুন ব্রীজের উপর থেকে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বৃহষ্পতিবার রাত অনুমান সাড়ে ১১টায় আত্রাই নতুন ব্রীজের উপর একটি সবুজ রঙের সিএনজি’র ৬ যাত্রীর দেহ তল্লাশী চালিয়ে এই গাঁজাগুলো উদ্ধার করা হয়। পুলিশ গাঁজা ও সিএনজিসহ ৬ হনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো চাঁদপুর জেলাধীন কচুয়া থানার ভুঁইয়ারা গ্রামের মৃত আছমত আলীর পুত্র মোঃ জসিম মিয়া (৪১) ও শাহ আলমের পুত্র মোঃ সেলিম (২২), গোপালগঞ্জ জেলাধীন কোটালীপাড়া থানার গোপালপুর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে মোঃ সাদ্দাম হাওলাদার, নওগাঁ সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শ্যামল জন্দ্র মহন্তের ছেলে শ্রী কাজল চন্দ্র মোহন্ত (৩২) ও মৃত রাজেন চন্দ্র দেবনাথের পুত্র পলাশ চন্দ্র দেবনাথ, পৌর-নওগাঁ মহল্লার মৃত রইচ মন্ডলের পুত্র বজলুর রহমান (৩৯)। তাদের প্রত্যেকের শরীরে বিশেষ কায়দায় ১৪ কেজি গাঁজা বাঁধা ছিলে।
পুলিশ ধারনা করছে তারা মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার করে এনে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রির আয়োজন করে থাকে। পুলিশ এসব ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের নিকট হস্তান্তর করেছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি