তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে এই সংখ্যা ৫০ হাজারে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ এমন ধারণাই করছেন।
তিনি বলেন, ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধার করা গেলে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে। যা বর্তমান নিহতের সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।
এর আগে, জাতিসংঘ থেকে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ মানুষের জন্য জরুরি খাবারের প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্কের ২৪ হাজার ৯২১টি ভবন ধসে পড়েছে। সিএনএনের তথ্যমতে, ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১৭৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ২৯ হাজার ৬০৫ এবং সিরিয়ায় ৪ হাজার ৫৭৫ জন।
এদিকে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু আটকা পড়ে আছেন। তাদের বেঁচে থাকাটা ক্ষীণ। তারপরও উদ্ধারকারীরা জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভূমিকম্পের সাতদিন পরও শতশত মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। একইসঙ্গে অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকা অনেককেই উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন