মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (রাজশাহী প্রতিনিধি) : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাদক দ্রব্য সেবনের টাকার জন্য গ্যাসের চুলা বিক্রয়কালে বাধা দেওয়ায় পিয়ারা খাতুন প্রিয়া (২২) নামে তিন মাসের অন্তসত্বা এক গৃহবধূকে অভিযোগে করা মামলায় তার স্বামী সজিব হোসেন (২৫) ও শাশুড়ি সাজেদা বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সজিব হোসেন ও স্ত্রী সাজেদা খাতুন। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে শেরপুর শহরের দাড়কিপাড়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোড়খালি গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে পিয়ারা খাতুন প্রিয়ার প্রায় ৫ বছর আগে সজিব হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। পেশায় কাঠ মিস্ত্রি সজিব হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য সেবন করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর মদকসেবনের বিষয়টি পছন্দ করেনি স্ত্রী। এ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। শনিবার সকালের দিকে মাদক দ্রব্য কেনার জন্য গ্যাসের চুলা বিক্রি করতে চায় সজিব হোসেন। কিন্ত স্ত্রী তাকে চুলা কিক্রি করতে বাধা দেয়। এ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের এক পর্যায়ে পিয়ারাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচারের জন্য তার লাশ ঘরের ভেতর ধর্ণার সাথে ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় সজিব ও তার পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে স্বামীর ঘর থেকে প্রিয়ার লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত প্রিয়ার বাবা হোসেন আলী বাদি হয়ে শনিবার রাতেই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সজিব হোসেন ও তার মা সাজেদা বেগমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামী করেছে।
ধুনট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছে সজিব হোসেন। সজিব ও তার মাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।