উদ্বেগজনকভাবে ধর্ষনের খবর দেশের মানূষকে বিচলিত করে তুলেছিল। বিচার দাবী করে জনগন রাস্তায় নেমে এসেছে, বিক্ষোভ করেছে ধর্ষকদের সর্ব্বোচ্চ সাজার দাবী আদায়ের জন্য। অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়ে আইনের কাছে বন্ধি এখন। জনগনের এই বিক্ষোভকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক নেতারা সরকার বিরোধী আন্দোলন জমানোর চেষ্টা করেছে। সরকারের পদত্যগ দাবী করেছে। অসত্য খবর প্রচার করে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। প্রতিদিন কিছু নেতা গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকদের বিচার হবেনা বলে প্রচারনা চালিয়েছে গনমাধ্যমে। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নির্দেশ দিয়েছেন যেন অপরাধীরা ছাড় না পায়।
আজ কাগজে দেখলাম, কেবিনেট মিটিং এ ধর্ষনের সাজা মৃত্যুদন্ড দিয়ে আইন পাশ হয়েছে। যারা ধর্ষন করেছে তাদের অপরাধ প্রমানীত হলে মৃত্যুদন্ডই হবে একমাত্র সাজা। দলীয় পরিচয়ে কোন অপরাধীর বিচার না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগেই। সাম্প্রতিক সময়ে যারা নানা অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের কেউ ছাড় পায়নি। কয়েকজনের সাজাও হয়েছে। নিত্য যারা অসত্য অভিযোগ তুলে সরকার পতনের হুঙ্কার দেন তারা অচেনা নন। দলীয় প্রধান এতিমের টাকা আত্নসাধের মামলায় জেল খাটছেন। দিতীয় প্রধান নেতা অর্থপাচারের মামলায় সাজা প্রাপ্ত হয়ে পলাতক। সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধে যাদের সত্য প্রকাশের সাহস নেই তারা সরকার পতনের হুঙ্কার দেন কোন নৈতিকতায়? ২০০১ সালের নির্বাচনের পর শুধু নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে নির্দয়ভাবে ধর্ষন করেছে তাদের গুন্ডা বাহিনী। সেই ধর্ষকদের বিচারত দুরের কথা কেউ ধরাও পড়েনি। ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার দায় স্বীকার করেনি আজও। সংসদে দাঁড়িয়ে তাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ” শেখ হাসিনা নিজেই ভেনেটি বেগের ভিতর গ্রেনেড নিয়ে গিয়ে ফুটিয়েছে”। খাম্বা আর হাওয়া ভবনের দুর্নীতি দেশের মানূষ ভুলে গেছে ভাবা সঠিক নয়।
সরকারের ত্রূটি হলে বিরোধী দল প্রতিবাদ করবে এটাই গনতান্ত্রীক শিষ্ঠাচার তবে অসত্য নির্ভর ভুল রাজনীতি বিপদ ডেকে আনে দল এবং দেশের জন্য। সরকার কোন অপরাধীকে দলীয় পরিচয়ে ছাড় দেয়নি- দিবেওনা। ধর্ষনের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীরাও ছাড় পাবেনা। ধর্ষকদের সর্ব্বোচ্চ সাজার দাবী উঠেছে জনগনের কাছ থেকে। দৃষ্টান্তমুলক সাজা হলে দেশের মানূষের স্বস্থির পাশাপাশি অপরাধীরাও সাবধান হবে আশাকরি।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
১১ অক্টোবর ২০২০।