পাহাড়সম লক্ষ্য। চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাও যদি দল খেলতে না পারে তবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। বাংলাদেশের সঙ্গেও যেন এমনটাই ঘটেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে একেবারে ভেঙে পড়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। শেষ পর্যন্ত ১০৪ রানের লজ্জাজনক হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ঝড় তোলে বাংলাদেশের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই ওভারে ১৭ রান পায় বাংলাদেশ। তবে সেই ওভারেই শেষ। এরপর খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
দ. আফ্রিকার পেসার এনরিখ নরকিয়ে নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন টাইগারদের দুই ওপেনারকে ৬ বলে ১৫ রান করে আউট হন সৌম্য। ৯ রান করে সরাসরি বোল্ড হন শান্ত। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে সাকিবকে ফিরিয়ে টাইগারদের চাপে ফেলে দেন নরকিয়ে। যদিও আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন সাকিব। টিভি রিপ্লাইয়ে দেখা যায় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে টাইগার অধিনায়ককে। মাত্র ১ রানে দিন শেষ হয় সাকিবের।
প্রয়োজনের দিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন আফিফও। ওয়েইন পারনেলের বলে ১ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। সবার যাওয়া আসার মিছিলে আরেকপাশ সামলে রেখে নিজের খেলাটা খেলে যাচ্ছিলেন দলের সেরা ব্যাটার লিটন দাস।
আফিফের পর মিরাজ এসে কিছুক্ষণ লিটনকে সঙ্গ দিলেও ব্যক্তিগত ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। মিরাজের বিদায়ে ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। একই দিনে ব্যর্থ ছিলেন সৈকত এবং সোহানও। সৈকত শূন্য রানে ফিরলেও ২ রান পেয়েছেন কিপার সোহান।
সোহানের পর ১৪তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক লিটন দাস। ৩১ বলে ৩৪ রান করে তাবরাইজ শামসির বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। লিটনের বিদায়ের পর কোনো বল না খেলেই শূন্য রানে আউট হন পেসার হাসান মাহমুদ। এরপর দলীয় ১০১ রানে শেষ উইকেট হারিয়ে পরাজয় মেনে নেয় বাংলাদেশ।