১৯৯৯ সালের পর আবারও বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। এ নিয়ে দেশটির আয়োজনের কমতি নেই। নানা রঙে সাজছে ইংল্যান্ডের শহরগুলো। আয়োজন করার ইঙ্গিত জমকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেরও।ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল বৃষ্টির বাগড়ায়। লর্ডসে অনুষ্ঠিত সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য রাখা আতশবাজিগুলোও ফুটানোর সময় দেয়নি বৃষ্টি।
দীর্ঘ কুড়ি বছর ঘুরে আবারও বিশ্বকাপের আসর বসতে যাচ্ছে ক্রিকেটের জন্মস্থানে। সেবার যা করতে পারেনি ইংল্যান্ড, এবার আর নিশ্চয় সেই একই ভুল করতে চাইবে না তারা।এবারের অনুষ্ঠান যেন বৃষ্টিতে পণ্ড না হতে হয় তাই অন্যরকম আয়োজন করতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের আয়োজকরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা তাই আগের মতো আর মাঠে নয়, অনুষ্ঠিত হবে দ্য মলে। জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি।ইতিহাসের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান’ করার ঘোষণা দিয়ে আইসিসি ২০১৯ বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্টিভ এলওয়ার্দি বলেছেন, ‘আমরা গোটা বিশ্বকে দেখাব, আমরা কি করতে পারি এবং কেন ক্রিকেট সমর্থকেরা ৪৬ দিনের এই লম্বা সূচির বিশ্বকাপ উপভোগ করবে।‘দ্য মল’ খ্যাত এই মলকে ব্রিটিশরা যেকোনো বড় উৎসবের জন্য বেছে নেয়। এই মলটিতেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় উৎসব করেছে ব্রিটিশরা। রানি এলিজাবেথের সিংহাসন আরোহণের সুবর্ণজয়ন্তীসহ বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয় দ্য মলে।আগামী ২৯ মে দ্য মলে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হবে এক ঘণ্টার। ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী পর্ব।এরপর দিন ৩১ মে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের মধ্য দিয়ে মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপের ১২তম আসর।