অনেকেই প্রশ্ন করেন, শুধু রাজনীতি নিয়েই কেন লিখি? যারাই প্রবাসী হয়েছেন তাদের সকলেরই প্রায় অভিন্ন ভাবনা হয় দেশ নিয়ে।। দেশ নিয়ে ভাবনা এলেই রাজনীতিটি উঠে আসে সবার আগে। স্মৃতির পাতা উল্টে পাল্টে যে চিত্রটি মনে পরে, দেশটি আজ সেই জায়গাতে নেই। বদলে গেছে সব। দেশকে এখন চেনা যায়না। শৈশবে দেখা গ্রামের এখন ভিন্ন চেহারা।সবখানেই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে গেছে। এখন বৈদ্যুতিক আলোতেই আলোকিত হয় গ্রাম। শহর আর গ্রামের বৈষম্যটিও কমে গেছে। গ্রাম্য অর্থনীতি দেশকে এক ভিন্ন উচুতে নিয়ে গেছে। সব সমীক্ষাতেই বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছে। এই পরিবর্তনের নেতৃত্বটি দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সর্বকালেই মানূষ দেশের উন্নয়নের আশা করেছে,কোন সরকারই পারেনি। জনগনের সেই প্রত্যাশাটি পুরন করে দেখিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। তাহলে সরকার পতনের আন্দোলন হবে কেন দেশে? নিজেরা পারেনি বলেইকি এখন এই আন্দোলন? যদি তা’ই হয় তাবে তা রাজনীতি নয়- ষড়যন্ত্র। দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সাধারন জনগোষ্ঠির একজন হিসাবে আমি এই আন্দোলনের বিপক্ষে। এই কারনেই নিয়মিত লিখি। এই লেখালেখি অন্যায় হলে সেই অন্যায় প্রতিদিনই করবো। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা বা কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করা গনতান্ত্রিক শিষ্ঠাচার, তবে তা হতে হবে সত্য এবং ন্যয়সঙ্গত। অনেক নেতাই ব্যক্তিগতভাবে অন্যায়, অপরাধ করেছেন কিন্তু সরকার জনগনের প্রত্যাশাটি পুরন করতে পেরেছে। যে রাজনীতি দেশের কল্যান করতে পারেনা, তাকে আর যা’ই হউক রাজনীতি বলা যাবেনা। দেশের মানুষ সঠিক রাজনীতি দেখতে চায়, দেশে সুস্থ্য রাজনীতি দেখতে চায়। দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ চায়। অসত্য অপবাদ দিয়ে রাজনীতি করা সঠিক হবেনা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
১৯ অক্টোবর ২০২০।