চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা— যা বিতরণকৃত মোট ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ।
রবিবার (১৭ নভেম্বর ) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার জ্ঞাতসারে এতদিন বিভিন্নভাবে খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করতো ব্যাংকগুলো। সরকার পতনের পর সেই সুযোগ বন্ধ হয়েছে। এর ফলে এক লাফে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২১ কোটি টাকার ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। শুধু তাই নয়, গত ১৬ বছরের মধ্যে বিতরণ করা ঋণ ও খেলাপি ঋণের সর্বোচ্চ অনুপাত এটি।
তথ্য বলছে, গত জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। গত মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বর মাসের শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে অনুসরণ করার কারণে খেলাপি ঋণ বেশি হয়েছে। আগে টার্ম লোনের গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাসে ছিল। তা এখন তিন মাসে করা হয়েছে। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দা হওয়ার কারণে ঋণ পরিশোধ কম হচ্ছে। এর কারণেও খেলাপি বেড়ে গেছে।’
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম