নওগাঁ প্রতিনিধিঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে কোনো চালের অভাব নেই। করোনার সময়ও আমরা মোকাবিলা করতে পেরেছি। আমরা আশা করছি, কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে এবং ভোক্তারা সুবিধা পাবে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁ সার্কিট হাউসে আগামী ১ সেপ্টেম্বর সারাদেশে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং টিসিবির কার্ডধারীদের মধ্যে চাল ও আটা বিতরণ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলেন তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫৩১ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে। আরও দুই দিন চাল সংগ্রহের সময় আছে। এ দুই দিনে আরও প্রায় ৫০ হাজার চাল সংগ্রহ হবে। এতে করে শতভাগ চাল সংগ্রহ হবে বলে আমরা আশাবাদী। তবে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় সংগ্রহ কম হয়েছে। তবে ৫০ শতাংশ সংগ্রহ হবে বলে আশাবাদী।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের হিসাবে বাইরে বাজারে চালের দাম কেজিতে ৫-৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোক্তাদের কষ্ট না দিতে সাশ্রয়ী মূল্যে সারাদেশে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। আগে ৮১৩টি ওএমএস কেন্দ্র চালু ছিল এবং ১ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হতো। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সারাদেশে ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে ২ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরে ৫০টি ট্রাকে ৩০ টাকা কেজি দরে সাড়ে তিন মেট্রিক টন চাল বিক্রি হবে। টিসিবি কার্ডধারীদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং মাসে ৫ কেজি করে ২ বার চাল বিক্রি হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ১০ হাজার ১১০ জন ডিলারের মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল বিক্রি হবে। খাদ্যবান্ধবদের জন্য স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ যাচাই-বাছাই কাজ প্রায় শেষ। এতে করে অবৈধভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। আর ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা বাজারে চাল কিনতে না গেলে স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন মন্ত্রী। এছাড়া এ বছর আউশ ধান ভালো হয়েছে। অনেকেই জানিয়েছে আমন ধানের চাল থেকে আউশের চাল অনেকটা ভালো। এ ধানে মরা দানা নেই।