বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা মোকাবিলায় তুলনামূলক কার্যকর বেশ কয়েকটি ওষুধ দেশেই উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে বাণিজ্যিকভাবে নয়, পরীক্ষামূলকভাবে কার্যকারিতা প্রমাণ হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী তা সরবারহ করা হবে হাসপাতালগুলোতে। এতে চিকিৎসায় কিছুটা হলেও গতি আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনাভাইরাস দূর করার দাবি নিয়ে নানা ওষুধের গুজবে সয়লাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এরই মধ্যে ভুয়া ওষুধ বিক্রির দায়ে গ্রেফতারও হয়েছেন কয়েকজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে কোভিড উনিশ উপস্থিতি জানান দেয়ার মাস পাঁচেক পরও আবিষ্কৃত হয়নি কোনো প্রতিষেধক। তবে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে কিছুটা সুফল মিলেছে এমন ওষুধ দেশেই তৈরির অনু্মোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর মধ্যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনসহ দুটো ওষুধ আগে থেকেই দেশে স্বল্প পরিসরে প্রস্তুত হতো। তবে ফ্যাভিপিরাভির একেবারে নতুন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওষুধ তৈরি হয়েছে যা করোনা রোগে কিছু কিছু জায়গায় এর গবেষণা দেখা গেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এগুলো আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি মোতাবেক তা করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। তবে বাণিজ্যিক উদ্দেশে এগুলো উৎপাদন করা হচ্ছে না।
মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, তবে বিষয়টা এমন নয় যে এগুলো আমরা বাজারে ছাড়বো। এই রোগের জন্যে ব্যবহার হবে। তা আমরা বলছিনা। এগুলো মূলত আমরা একযোগে কাজ করে প্রস্তুত করে রাখছি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কিছুটা কাজ করছে এমন প্রমাণ মিলেছে আগেই। বাকিগুলো এন্টিভাইরাল হিসেবে কিছুটা কাজ করলেও অনেক সহায়তা হবে।
বাংলাদেশ ফর্মাকোলোজিকাল সোসাইটি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, শুধু হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইড, আবার হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইডের সঙ্গে অ্যাজিথ্রোমাইসন যুক্ত করে দেখা গেছে কার্যকারিতা বাড়ে। এ দুটো প্রসাণিত হয়েছে। এ দুটো হলো অ্যান্টিভাইরাল। বাংলাদেশে যেনো এই রোগ চিকিৎসার জন্যে যেন বিধিবব্ধ নিয়ম মেনে গবেষণা করে সে জন্যে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনা ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে এসব ওষুধ হাসপাতালে সরবরাহ করা হবে।সময় নিউজ