তিন কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ জানুয়ারির শেষে না হলে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পাবে এই আশা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, ভ্যাকসিন দিতে লাগবে ৬ মাস। জুনে কোভেক্সের ভ্যাকসিন আসবে। জনসংখ্যার ২০ ভাগ সেই ভ্যাকসিন পাবে যা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি।
আজ রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনসংখ্যার যারা ১৮ বছরের নিচে তারা কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে না যা প্রায় ৪০ শতাংশ। পৃথিবীর কোথাও তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে না এবং তাদের ট্রায়ালও হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, ১ কোটি লোক দেশের বাইরে থাকে। তাতে আমাদের হিসাবে আছে, প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে না। আর যে ভ্যাকসিন দেয়া হবে সেটাও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। কাজেই গ্যাপ (জনসংখ্যা বাকি) বেশি থাকছে না, যেটুকু থাকছে সেটুকুও আমরা পর্যায়ক্রমে পূরণ করে ফেলব।
ভ্যাকসিন ও ওষুধের ল্যাব পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে হু ভ্যাকসিনের ল্যাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। করোনার যে ভ্যাকসিন আসবে তা এখানে পরীক্ষা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিকমানের। করোনার ভ্যাকসিন কেনার অর্ডার পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যখনই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন হু’র অনুমোদন পাবে তখনই বাংলাদেশ সেটা পাবে।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় বাংলাদেশ যে ভালোভাবে কাজ করছে এর স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ। এক্ষেত্রে আমরা আমেরিকা ও ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। সবার প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।