দুবাইয়ে জুয়েলারি দোকানের মালিক আরাভ খান এক পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার পলাতক আসামি। তার জুয়েলারি দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান নিয়ে সাকিবকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের কবলে পড়তে হতে পারে।
এমন বিতর্কের মাঝেই দেশে ফিরে আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। ফলে এ মুহূর্তে সাকিবকে নিয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)?
সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তিনি বলেন, ‘পুরো ব্যাপারটা কিন্তু আমরা মিডিয়ায় দেখিছি, শুনেছি। যে ঘটনাটা ঘটেছে খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে। যখন নাকি একদিনের ব্যবধানে এটা হয়েছে। আমাদের ওই সময় হয়নি পুরো বিস্তারিত জানার বা যারা এটার মধ্যে কনসার্ন আছেন তাদের জিজ্ঞেস করার। এটা সিরিজ শেষ হোক, অবশ্যই এই ব্যাপারে আমরা তার কাছে জানতে চাইব।’
জালাল ইউনুস বলেন, ‘ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি জানত না ইংল্যান্ড সিরিজের পর সাকিব ঠিক কোথায় এবং কী কাজে যাচ্ছেন। আমরা জানি না, আমার ক্রিকেট অপারেশন্স জানে না ব্যাপারটা। জেনারেলি গ্যাপের মাঝখানে একটা ছুটি ছিল। দুটা সিরিজের মাঝখানে একটা ছুটির মতো ছিল, সেটা সে এভেইল করেছে, ব্রেকটা এভেইল করেছে।
জানা ছিল ১৭ তারিখ দলের সঙ্গে জয়েন করবে, এটা আমরা জানতাম। কোথায় গেছে কী করেছে, বা কার সঙ্গে কী ছিল, বাণিজ্যিক ইনভলমেন্ট ছিল কি না এটা আমরা পরে জানতে পেরেছি। দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা অবশ্যই দেখব। কিন্তু সিরিজের মাঝে আলাপ করতে চাচ্ছি না।’
সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, ‘অবশ্যই। আমরা মনে করি সাকিব ইজ অ্যা ভেরি সেন্সেবল বয়। তার জ্ঞান আছে এসব ব্যাপারে। কোথায় কী করতে হবে, না করতে হবে, খুব ভালো জানে।
ব্যাপারটা কী ঘটেছে, সেজন্যই বললাম কেন ঘটেছে, কীভাবে ঘটলো, কীভাবে ইনভলভমেন্ট হলো সেটা আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। এটা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করিনি। কারণ, একটু আগে বললাম একদিন পরই সিরিজ শুরু হয়ে গেছে। একই সঙ্গে বোর্ডের সভাপতি ও সিইও বাইরে আছেন আইসিসি মিটিংয়ে, উনারা এলে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করবো কী করা যায়।
ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের এখানে কমিটি আছে, ডিসিপ্লিনারি। উনারা যদি মনে করেন এখানে কোনো কিছু আরও তদন্ত দরকার। উনারা দেখবেন। আমার মনে হয় একটু অপেক্ষা করা দরকার। এখন এগুলো নিয়ে আলাপ না করাই ভালো।’
সাকিবকে প্রটেক্ট করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। কারণ, সাকিব শুধু আমাদের বিসিবির সম্পদ না, দেশের সম্পদ। তার দিকে লুক আফটার করা আমাদের দায়িত্ব।’
জালাল ইউনুস আরও বলেন, ‘সাকিবের পাশে আছে বিসিবি। এখানে ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে আমরা দেখবো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কী আছে তার। সেটা ভাঙা হয়েছে কি না। বাণিজ্যিক চুক্তি বোর্ডের ক্ল্যাশ করে কি না। যদি তেমন কিছু থারে ডিসিপ্লিনারিতে আমরা রেফার করতে পারি। এজন্য বললাম কোনো কিছু না জেনে, সবার থেকে জিজ্ঞেস না করে, ব্যাপারটা পুরোপুরি তদন্ত না করে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’