অনেকেই বিদেশ থেকে দেশের রাজনীতির খবর জানতে চান। কেউ কেউ পরামর্শও পাঠান দলের শির্ষ নেতাদের কাছে পৌছে দিতে। প্রথমত আমি রাজনৈতিক বিশরদ নই। অনেকের সঙ্গেই আলাপ পরিচয় আছে। মাঝে মধ্যে অনেকের সাথে কথাও হয় তবে দেখাসাখ্যাত খুব একটা হয়না করোনার কারনে। রাজনীতি নিয়ে আমিও ভাবি। এবং লিখি মনের ভাবনা থেকেই। আমি যা লিখি তা একান্তই আমার নিজস্ব। এর সঙ্গে দলের বা নেতাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। দেশে এখন কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড নেই। মাঝে মধ্যে দু’চারজন নেতা তর্ক যূদ্ধ করেন গনমাধ্যমে। কার্যত কোন কর্মসূচী নেই কোন দলেরই। জাতীয় সংসদে বি এন পি’র দুর্বল প্রতিনিধিত্ব রয়েছে দলগত ভূমিকা নেই। সরকারী জোটে জাতীয় পার্টি। প্রধান নেতা এরশাদের মৃত্যুর পর সেই দলটিও এখন প্রায় নিরব। তৃতীয় শক্তি নামে যে জোটটি হয়েছিল সেটিও নিষ্ক্রীয়। ড, কামাল হোসেনের গনফোরাম বিভক্ত হয়ে গেছে। সর্বপরি করোনা পরিস্থিতি রাজনীতির জন্য সহায়ক নয়। কোন রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সরকার পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রিক। নেতাদের উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকা নেই রাজনীতিতে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া কোন কিছুই কার্যকর হয়না।
নির্বাচন খুব বেশী দেরি নেই। পদ্মা সেতু চালু হলে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই প্রস্তুতি চলছে দলের নমিনেশন নেওয়ার। এই প্রতিযোগিতায় থেমে নেই অখ্যত কর্মীটিও। সকলেই নিজেকে যোগ্য প্রার্থী মনে করে এবং প্রচারনা চালাচ্ছে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায়। সদ্য দলে ভেরা বিত্ত্ববান এবং অন্য দল থেকে আসা নেতারাও চেষ্টা চালাচ্ছে নমিনেশন নিশ্চিত করতে। উপজিলার নেতা থেকে শুরু করে অঙ্গ সংগঠনের নেতারও আছে এই দৌড়ে। জীবনে একবারের জন্য হলেও সংসদে যেতে চান তারা। এই প্রতিযোগিতায় অনেক প্রবাসি নেতাও যুক্ত হয়েছেন। তবে দলের নেতৃত্বের পরিবর্তন চায় এখন সকলেই। নির্বাচনের আগে কাউন্সিল হতে হবে এবং সেই কাউন্সিলে লোভনিয় পদটি হবে দলের সেক্রেটারী। এই পদ প্রাপ্তির লোভে আওয়ামী লীগে নতুন করে অভ্যন্তরীন উপদল গঠনের চেষ্টা চলছে। ভাগ্যের সিকাটি কার হবে তা জানেন শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনা। তবে নাম শোনা যাচ্ছে অনেকের। নতুনদের স্থান দিতে চান নীতিনির্ধারকরা কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই নীতিতে কতটা স্থির থাকতে পারবেন তা নির্ভর করবে দলনেত্রীর উপর। অনেক এম পি এখন বিতর্কিত হয়ে পরেছেন। এলাকাবাসি নেতৃত্বের পরিবর্তন চায়। সেই হিসাবে অনেকে বাদ পরবেন শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাটি কত কেউ জানেনা। বেশী কাড়াকাড়ি চলছে মহিলা নেতৃত্বে। নির্ধারিত কোটায় এবারের সংসদে কয়েকজনের বিরুদ্ধে জোর আপত্ত্বি উঠেছে। কোন যোগ্যতায় মহিলা আসনে প্রার্থী নির্বাচীত হবে তা নিশ্চিত হওয়া জরুরী। জাতীয় কাউন্সিলে এই সিদ্ধান্তটি প্রত্যাশা করে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মী। তা নিশ্চিত হলে অবস্থাটির পরিবর্তন হবে আশা করেন বিজ্ঞজনেরা। এই সব কিছুই নির্ভর করবে করোনা মোকাবেলায় সরকারের সফলতার উপর।
সরকার করোনা নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। ইতিমধ্যে জামাত-বি এন পি সহ সব দলের নেতারাই দেশে বিদেশে প্রচারনা চালাচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে। ভার্চুয়াল সাখ্যাতকারে মিথ্যাচার করছে সরকারের বিরুদ্ধে। এসব আলোচনা আর বক্তব্যের ভিত্তি নেই তবে জনগন বিভ্রান্ত হচ্ছে। এই প্রচারনা সবটাই হচ্ছে বিদেশ থেকে। সরকার চাইলেও এই প্রচারনা বন্ধ করতে পারবেনা। তাই প্রবাসি সংগঠনগুলিকেই স্বক্রিয় হতে হবে। ঐক্যবাদ্ধ হয়ে অপপ্রচারনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। শুধু নেতা হওয়ার আশায় যারা প্রবাসে রাজনীতি করেন তাদের কথা ভিন্ন। দলের একনিষ্ঠ কর্মী হলে প্রবাসে দুস্কৃতিকারিদের বিরুদ্ধে সঙ্গবদ্ধ হউন। প্রতিবাদ করুন।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।