ডিবিএন ডেস্কঃ চৈত্রের শেষভাগে এসে গতকাল ৪ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। গতকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর তাণ্ডবে নিহত হয়েছেন ১৩ জন। ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানা এ ঝড়ে গাইবান্ধায় ১০ জন, ফরিদপুরে ২জন এবং কুষ্টিয়ায় ১ জন নিহত হয়েছেন। সারা দেশে আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন মানুষ। ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে পড়ে এমন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গাইবান্ধায় নিহতরা হলেন- পলাশবাড়ি উপজেলার গোফফার রহমান (৪২), জাহানারা বেগম (৪৮) ও মমতা বেগম (৫৫), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ময়না বেগম (৪০), ফুলছড়ি উপজেলার শিমুলি আকতার (২৭) ও হাফেজ উদ্দিন (৪৪), সাদুল্লাপুর উপজেলার আবদুস ছালাম সর্দার (৪৫), সদর উপজেলার শিশু মনির মিয়া (৫) ও আরজিনা (২৮) এবং বাদিয়াখালির শেফালি বেগম (৬৫)। এর মধ্যে গাছের চাপা পড়ে মৃত্যু হয় শিশু মনির, গোফফার, জাহানারা ও ময়না বেগমের। ঘরের নিচে চাপা পড়ে শিমুলি আকতার ও অটোরিকশা উল্টে মৃত্যু হয় হারিস মিয়ার। এ ছাড়া দোকান থেকে বাড়ি ফিরেই মৃত্যু হয়েছে আবদুস ছালামের। আরজিনা ও হাফেজ উদ্দিন আহত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন।
ফরিদপুরে নিহতরা হলেন- মধুখালী উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের জাহিদের স্ত্রী হালিমা (২৬) ও তার এক বছর চার মাস বয়সী শিশু কন্যা আফছানা। ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়ায় নিহত ব্যক্তি হলেন- দৌলতপুর উপজেলার মহিষাডোরার আল্লারদর্গা এলাকার শশীধরপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম (৪০) স্থানীয় বাসিন্দা সাদ মন্ডলের ছেলে এবং পেশায় একজন সবজি ব্যবসায়ী। ঝড়ে উড়ে আসা টিনের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া, প্রচণ্ড গতির দমকা ঝড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিঁড়ে গেছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছ। এ অবস্থার কারণে প্রচন্ড গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওইসব এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।