আফজাল হোসেনকে চিরসবুজ নায়ক বলা হয়। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। এছাড়া লেখালেখিও করেন। প্রায় সময়ই নানা ইস্যু তাঁর লেখায় উঠে আসে। এবার তার লেখায় উঠে এল দেশে অন্যয় ও চোর-ডাকাতদের প্রসঙ্গ।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে ফেসবুকে একটি পোস্টে আফজাল হোসেন লিখেছেন, যারা অন্যায় করে তাদের কলিজা বড়, আল্লাহ-আইনের ভয় করে না।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, একটু ভালো জীবনের আশায় শত চেষ্টা করেও কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য বা কপাল বদলায়নি, বদলেছে কপালের খানিকটা ওপরের দিক। হয় কপালে পড়েছে ভাঁজ অথবা মাথার চুল হতাশার ঠ্যালা-গুঁতোয় হয়েছে উধাও।
আফজাল হোসেন তার লেখায় মানুষের কষ্ট এবং তাদের আনন্দ খোঁজার বিষয়টি উল্লেখ করে লিখেছেন, কষ্টের জীবন নিয়ে মানুষের অত ক্ষোভ-অশান্তি ছিল না। ক্ষোভ আর অশান্তি মন্দ মানুষদের নিয়ে—যাদের চাওয়া অশেষ, পাওয়ারও শেষ নেই।
ঘোরতর অন্যায় তারা হাসতে হাসতে করতে পারে। অথচ যারা সাধারণ—অন্যায়ের দিকে এক পা বাড়াতে কেঁপে মরে। ভাবে, অন্যায় যদি করি—দেশের আইন গলা চেপে ধরবে, আবার ওপরওয়ালা শেষবিচারের দিন একচুলও ছাড় দেবেন না।
দেশের বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে আফজাল হোসেন লিখেছেন, দেশের চোর-ডাকাতগুলোর কলিজা বড়। তারা দেশের আইন বা আল্লাহ—কিছুরই ভয় করে না। ভাবে, আমি আমরা সবাইকে তুষ্ট করেই যা করার করছি। অন্যায়কারী অন্যায় একা করে না, অনেককে দিয়ে-থুয়েই করে—সেটাই তাদের সাহস ও শক্তি জোগায়।
আফজাল হোসেনের পোস্টের শেষ অংশ ভালো মানুষের দীর্ঘশ্বাস আর চোর-ডাকাতদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও উঠে এসেছে। তিনি লিখেছেন, ভালো মানুষেরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে—আমাদের ভয়ডর এত কেন! চোর, ডাকাত, লুটেরারা সংখ্যায় বাড়তে বাড়তে নিকট পর্যন্ত এসে গেছে—সেই তাপে কারও কারও মনে হয়, সবাই করছে যখন, এক-আধটু নিজে করলে অসুবিধা কী! ওই ভাবা পর্যন্তই।
ঠকতে ঠকতে জীবন তলানিতে পৌঁছেছে, তবু একদল মানুষ ভালো হয়ে থাকবার বাসনাটা টিকিয়ে রাখে। সে চেষ্টা কি সমাদর পায়? পায় না।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম